সে নকল ও অশ্লীল গায়, বিএনপির রোড শোসহ সব প্রোগ্রামে তাকে নিয়মিতই দেখি, কাকে বললেন আসিফ
গায়ক আসিফ আকবর সোজাসাপটা কথা বলেন। এ জন্যই বিনোদন অঙ্গনে তাঁর সুনামও আছে। এ নিয়ে আবার পরিচিতজনদের মধ্যে মনোমালিন্যও হয়। তবে এ নিয়ে আসিফের নড়চড় হয় না। তিনি তাঁর রাজনৈতিক আদর্শের ব্যাপারেও একেবারে খোলামেলা কথা বলেন। এবার তিনি ক্ষোভ ঝাড়লেন এমন একজনের ওপর, যিনি কিনা আসিফের কণ্ঠ নকল করে ইউটিউবে গান প্রকাশ করেছেন।
‘আমার বন্ধুর মনটা বড় বারোভাতারি’ শিরোনামের গানটি প্রকাশ করে সেটিতে আসিফ আকবরের ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যেটিতে আসলে তিনি কণ্ঠই দেননি। ম্যাক্স রহমান নামের একজন কাজটি করেছেন। মাস তিনেক আগে প্রকাশিত গানটি নজরে এসেছে আসিফ আকবরের।
বিষয়টিতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসিফ তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি বিএনপির রোডমার্চের গানও গাইনি, আবার আওয়ামী উন্নয়ন বন্দনার পদ্মা সেতুর গানও গাইনি। এর আগে একটা হিন্দি গান গেয়ে আমার নাম ও ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। আজ (শনিবার) সকালে একজন পাঠাল “বারোভাতারির গান”। এই গানটিও আমি গাইনি অথচ আমার নাম ও ছবি এটাতেও জুড়ে দেওয়া হয়েছে!’
‘অধিনায়ক স্বাধীনভাবে কাজ করে, আমি তা মনে করি না’ -আসিফ আকবর
ম্যাক্স রহমান নামের এই গায়কের কর্মকাণ্ডকে জোচ্চোরের কাজ বলে অভিহিত করেছেন আসিফ। তিনি ফেসবুকে আরও লিখেছেন, ‘পদ্মা সেতু এবং বিএনপির রোড শো থিম সংয়ের এই গায়ক একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ-বিএনপির জয়গান গাইতে সক্ষম। সে নকলও গায়, অশ্লীলও গায়। বিএনপির রোড শোসহ সব প্রোগ্রামে তাকে এখন নিয়মিতই দেখি। আমার কণ্ঠ নকল করা তার নেশা, তাতে অসুবিধা নাই। সমস্যা হচ্ছে আমার ছবি আর নাম ব্যবহার নিয়ে—এটা জোচ্চোরের কাজ।’
ন্যান্সির মামলায় জামিন, পাল্টা মামলার কথা ভাবছেন গায়ক আসিফ
নিজেকে আগের তুলনায় শান্ত উল্লেখ করে আসিফ তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আগের তুলনায় আমি এখন যথেষ্ট শান্ত। হুটহাট রেগেও যাই না। আবার আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার মতো সময় আর মানসিকতা নাই। যে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়েছে, তার বিরুদ্ধেই কোনো অ্যাকশন নিইনি। সমাজে এসব ভাইরাস কালে কালে আসে, পৃষ্ঠপোষকও নিকটজন। ফেসবুকের মতো পাবলিক প্লেসে এই ইস্যুটা তুলে ধরলাম। ভদ্রলোক হয়ে গেছি মানে আমি দুর্বল নই, শুধু কাদায় গিয়ে শুয়োরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে নিজের গায়ে কাদা মাখাতে চাই না। এই ধরনের অসভ্য উপদ্রবগুলো থাকবেই, আমার শ্রোতারা বিভ্রান্ত হবেন না আশা করি। ভালোবাসা অবিরাম…।’