Home বিশ্ব ভারত আর কানাডার মধ্যে কাকে বেছে নেবে যুক্তরাষ্ট্র, জানালেন পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩

ভারত আর কানাডার মধ্যে কাকে বেছে নেবে যুক্তরাষ্ট্র, জানালেন পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন বলেছেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারতের বিপক্ষে যে অভিযোগগুলো তুলেছেন, তা দিল্লির চেয়ে অটোয়াকেই বেশি বিপদে ফেলতে পারে। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রকে যদি কানাডা ও ভারতের মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হয়, তাহলে ওয়াশিংটন নিশ্চিতভাবে দিল্লিকে বেছে নেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র কানাডা। ভারতের সঙ্গেও ওয়াশিংটনের উষ্ণ সম্পর্ক। তবে মাইকেল রুবিন মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কানাডার চেয়ে ভারতের কৌশলগত গুরুত্ব বেশি। কানাডা ভারতের বিরুদ্ধে যে লড়াইয়ে মেতেছে, তা হাতির বিরুদ্ধে পিঁপড়ার লড়াইয়ের শামিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ড: কানাডাকে সহযোগিতা করতে ভারতের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে গুরুদুয়ারার সামনে খুন হন হরদীপ সিং। ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার পার্লামেন্টে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর এক বক্তব্যের পর অটোয়া ও দিল্লির মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। তিনি পার্লামেন্টে এক বিবৃতিতে বলেন, শিখ সম্প্রদায়ের নেতা কানাডার নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারতের এজেন্টরা জড়িত। ট্রুডোর বক্তব্যের পর কানাডা ও ভারত দুই দেশের কূটনীতিকদের পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বড় ভুল করেছেন। তিনি এমনভাবে অভিযোগগুলো করেছেন যে তাঁর আর পিছু হটার সুযোগ নেই। তিনি কোনো কিছু না ভেবেচিন্তেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেলছেন। সরকারের (ভারত) বিরুদ্ধে তিনি যে অভিযোগ তুলেছেন, তার পক্ষে তাঁর কাছে কোনো প্রমাণ নেই। এ ক্ষেত্রে এ সরকার (কানাডা সরকার) কেন একজন সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিচ্ছিল, তার ব্যাখ্যা তাঁকে দিতে হবে।’

হরদীপ হত্যা ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্কে কি ফাটল ধরেছে

বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাইকেল রুবিন বলেন, ‘আমার ধারণা, দুই বন্ধুরাষ্ট্র থেকে একটিকে বেছে নেওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্র যেতে চাইবে না। তবে আমাদের যদি দুই বন্ধুরাষ্ট্র থেকে একটিকে বেছে নিতেই হয়, তাহলে এ ক্ষেত্রে আমরা ভারতকে বেছে নেব। কারণ, নিজ্জর একজন সন্ত্রাসী। আর ভারতের গুরুত্ব অনেক বেশি। আমাদের সম্পর্কটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

জনমত জরিপে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা কমে গেছে উল্লেখ করে রুবিন বলেন, ‘জাস্টিন ট্রুডো সম্ভবত খুব বেশি দিন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে গড়ে নিতে পারব।’

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *