জবি সাংবাদিকতা বিভাগে নবীন বরণ ও অগ্রায়ন অনুষ্ঠিত
তৌকির আহমেদ, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নবীন বরণ ও অগ্রায়ন ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার(১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ এবং বিভাগের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায় জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তথ্য কমিশনার ও দৈনিক আজকের পত্রিকা সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান ও দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. শাহ মো. নিস্তার জাহান কবির।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যতগুলো বিভাগ আছে তার মধ্যে সাংবাদিকতা বিভাগ অন্যতম। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা কাজ করছে। দেশের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখছে। যা অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, “ডিজিটাল যুগে মানুষের ব্যক্তিসত্ত্বা ও সৃজনশীলতা বিলুপ্ত হচ্ছে। প্রযুক্তি মানুষের চিন্তা-চেতনায় হস্তক্ষেপ করছে এবং স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ কমে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য মানবীয় যোগাযোগ ও তথ্য নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজের অবারিত সুযোগ উন্মুক্ত রয়েছে। কিন্তু আমরা এ ব্যাপারে খুব কম লোকই অবগত আছি।”
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. শাহ মো. নিস্তার জাহান কবির বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি তোমাদেরকে ডিপার্টমেন্ট থেকে বিদায় দিব না, দিব না মানে দিব না; তাই আজকের অনুষ্ঠানের ব্যানারে বিদায় অনুষ্ঠান না লেখে অগ্রায়ন লিখেছি।”
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এর ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল আলম, ও সহকারী অধ্যাপক প্রিয়াঙ্কা স্বর্ণকার।
অনুষ্ঠানের ১ম পর্যায়ের আলোচনা শেষে মধ্যাহ্নভোজের জন্য বিরতি দেওয়া হয় এবং দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ, গান, কবিতা আবৃতি, কমেডি ও রহিম-রূপবান যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়।