Home জেলা রাজনীতি ডিএমপি বিব্রত, মামলা করতে চায় না ছাত্রলীগ: সাদ্দাম হোসেন
সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩

ডিএমপি বিব্রত, মামলা করতে চায় না ছাত্রলীগ: সাদ্দাম হোসেন

ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধরের ঘটনায় মামলা করতে রাজি নয় ছাত্রসংগঠনটি। তারা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভাগীয় তদন্তের ওপর আস্থা রাখতে চায়। এর কারণ হিসেবে ছাত্রলীগ জানিয়েছ, তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে পুলিশের সবাই বিব্রত বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।

আজ সোমবার দুপুরে ডিএমপি কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘যে অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, তাতে বাংলাদেশের সব শ্রেণির নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ ঘটনার জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যাতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেটা নিশ্চিত করা হয়, সে জন্য আমরা গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের (আসাদুজ্জামান খান) সঙ্গে দেখা করেছি। আজ ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ডিএমপি কমিশনার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে সর্বোচ্চ আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’

অভিযোগ রয়েছে, পরিবার মামলা করতে চাচ্ছে কিন্তু ছাত্রলীগ মামলা করতে দিচ্ছে না—সাংবাদিকের এমন এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন তদন্ত শেষ করা হয়, আইনানুগভাবে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হয়, সে দাবি জানিয়েছি। ডিএমপি কমিশনার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’

ঘটনার বর্ণনা দিলেন আহত ছাত্রলীগ নেতা, এডিসি হারুন ও নারী কর্মকর্তা যা বললেন

মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন

সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, এ রকম একটি ঘটনার পরও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। তবে কেউ কেউ এই ঘটনা নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

পিটুনি, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে বারবার আলোচনায় এডিসি হারুন, বদলি ছাত্রলীগ নেতাদের পিটিয়ে

এপিবিএনে বদলি হওয়া ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশিদ

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাষ্ট্রপতির এপিএসের সঙ্গে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে বারডেম হাসপাতাল থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওসি তদন্তের কক্ষে আটকে রেখে এডিসি হারুনের নেতৃত্বে তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *