Home দুর্ণীতি উদ্বোধনের অপেক্ষায় দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম পয়ঃশোধন কেন্দ্র
জুলাai ১৩, ২০২৩

উদ্বোধনের অপেক্ষায় দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম পয়ঃশোধন কেন্দ্র

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে প্রতিদিন ৫০ লাখ মেট্রিক টন পয়ঃশোধন ক্ষমতাসম্পন্ন দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম একক পয়ঃশোধন কেন্দ্র (এসটিপি) আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি রাজধানীর আশপাশের নদীগুলোকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করবে।

ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যুয়েরেজ অথরিটির (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান এক সংবাদ ব্রিফ্রিংয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় দশেরকান্দি স্যুয়েরেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। দেশে এটাই প্রথম এ ধরনের প্ল্যান্ট। প্ল্যান্টে দৈনিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন পয়ঃশোধন প্রক্রিয়ার ক্ষমতা আছে, যা রাজধানীর মোট পয়ঃশোধনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ।

ঢাকা ওয়াসা প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকার শতভাগ পয়ঃশোধন প্রক্রিয়ার মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী পাগলা, উত্তরা, রায়েরবাজার ও মিরপুর এলাকায় একটি করে আরও চারটি পয়ঃশোধন কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

প্লান্টটি ২০৩০ সালের মধ্যে সারা দেশে উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমে এসডিজি লক্ষ্য-৬ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে উল্লেখ করে ওয়াসার এমডি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে একটি সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার আওতায় আনার পথপ্রদর্শক। এ ধরনের একক পয়ঃশোধানাগার প্ল্যান্ট দক্ষিণ এশিয়ায় বৃহত্তম এবং এটিই সেরা। প্ল্যান্টটি পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও জনবান্ধব উল্লেখ করে তাকসিম এ খান বলেন, নর্দমা থেকে পরিশোধিত পানি বালু নদীর পানিতে পড়ছে, যা নদীর পানির গুণগতমান বাড়ানোর পাশাপাশি পানি সুপেয় করে তোলে।

দাশেরকান্দি শোধানাগার প্ল্যান্ট, যা খিলগাঁও থানার অন্তর্গত, আফতাবনগর সংলগ্ন এবং গুলশান (একাংশ), বনানী, তেজগাঁও, নিকেটন, মগবাজার, মালিবাহ, আফতাবনগর, বাড্ডা, কলাবাগান, পান্থপথ, ধানমণ্ডি (একাংশ) ও হাতিরঝিলসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার পয়ঃশোধন করবে।

চীনের অর্থায়নে তিন হাজার ৪৮২ দশমিক ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৬২ দশমিক ২ একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। এই অর্থের এক হাজার ১০৬ দশমিক ৪২ কোটি টাকা জিওবি তহবিল থেকে এবং ১০ কোটি টাকা ওয়াসার তহবিল থেকে। এ ছাড়া চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে। প্রকল্পটির বাকি দুই হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা ব্যাংকটি থেকে সহায়তা হিসেবে আসবে। প্রকল্পটিতে প্রতিদিন প্রায় ৫৬০ টন প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতাসহ একটি স্লাজ ড্রাইং-বার্নিং সিস্টেম রয়েছে। এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ১ আগস্ট। পাওয়ার চায়নার অধীনে চেংডু ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন দ্বারা ডিজাইন ও নির্মিত প্রকল্পটি এক বছরের অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে ওয়াসার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ঢাকার চারপাশে নদীদূষণ রোধে পাঁচটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য ২০১৩ সালে ওয়াসার মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে দশেরকান্দি পয়ঃশোধানাগার প্ল্যান্টটি নির্মিত হয়েছিল। প্রকল্প অনুযায়ী, প্রগতি সরণিতে রামপুরা সেতুর পশ্চিম পাশে একটি বর্জ্য উত্তোলন স্টেশন, রামপুরা থেকে আফতাবনগর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার ট্রাঙ্ক স্যুয়ার লাইন এবং দশেরকান্দিতে মূল শোধনাগার নির্মাণ করা হয়।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *