Home সারাদেশ অধিক লাভের জন্য মজুত করা পেঁয়াজ এখন ‘গলার কাঁটা’
জুন ১৯, ২০২৩

অধিক লাভের জন্য মজুত করা পেঁয়াজ এখন ‘গলার কাঁটা’

দেশের অন্যতম বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ পচা পেঁয়াজে সয়লাব হয়ে গেছে। অধিক লাভের জন্য মজুত করা দেশি পেঁয়াজ গুদামে পচছে। আবার ভারত থেকে আমদানি করা বেশির ভাগ পেঁয়াজ পচা ও নষ্ট। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। পচা পেঁয়াজের গন্ধে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে হাঁটাচলা করতেও অসুবিধা হচ্ছে। সূত্র জানায়, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে দুটি কারণে পচা পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। আমদানি বন্ধ থাকায় অনেকে অতিরিক্ত পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন। এছাড়া আমদানির অনুমতির পর দাম হ্রাসের আশঙ্কায় খুচরা ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করে দেন। এতে দেড় সপ্তাহের মধ্যে গুদামের পেঁয়াজে পচন শুরু হয়। এছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজের বেশির ভাগই নিম্নমানের। এ কারণেও পেঁয়াজ পচছে।

জানা যায়, প্রতি ট্রাকে ১৪ টন পেঁয়াজের অর্ধেকের বেশি পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত। পচা ও আধা পচা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৫ টাকায়ও বিক্রি করতে হচ্ছে না। আমদানি করা পেঁয়াজ এখন ব্যবসায়ীদের ‘গলার কাঁটায়’ পরিণত হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, পেঁয়াজের আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে-এমন খবরে ভারতীয় অনেক রপ্তানিকারক অতি উৎসাহী হয়ে পেঁয়াজ ট্রাকে করে সীমান্তে এনে রাখেন। এক সপ্তাহের বেশি সময় ট্রাকে পড়ে থাকায় আড়তে আসার আগেই বেশির ভাগ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া ভারত থেকে ভালোমানের পেঁয়াজও আসছে না।

আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজ সরবরাহ কিছুটা কমে যায়। সংকট শুরু হওয়ার পর দেড় মাসে আমদানিকারকরা হাজার হাজার টন পেঁয়াজ মজুত করে রাখে। বেশিদিন পেঁয়াজ মজুত রাখায় পচতে শুরু করে। এছাড়া ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের ৫০ শতাংশের বেশি মিলছে পচা। মোকাম নষ্ট পেঁয়াজে সয়লাব। এ কারণে পেঁয়াজ ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা গেছে, আড়তগুলোয় ভারতীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। বিভিন্ন আড়তে শত শত বস্তা পেঁয়াজ আছে। ট্রাকে করে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় পেঁয়াজ যাচ্ছে। এদিকে, অনেক গুদামের সামনে পচা পেঁয়াজ ফেলে রাখা হয়েছে। কিছু পেঁয়াজের শেকড় বেরিয়েছে। কিছু পেঁয়াজের রং কালো হয়ে গেছে। ক্ষতির আশঙ্কায় নষ্ট-পচা পেঁয়াজ একেবারে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতাও মিলছে না বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

পাইকারী বাজারে ভারতীয় ভালোমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা। আর একটু নিুমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। ভ্যান গাড়িতে করে পেঁয়াজ বিক্রি করেন-এমন লোকজন নষ্ট ও পচা পেঁয়াজগুলো কেজিপ্রতি ১২ থেকে ১৫ টাকা দরে কিনে নেন। আবার অনেক আড়তদার পুরো বস্তা (৫০ কেজি) ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করছেন।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *