Home জেলা রাজনীতি দেশে ফিরতে চান সালাহউদ্দিন আহমদ
জুন ৮, ২০২৩

দেশে ফিরতে চান সালাহউদ্দিন আহমদ

অনলাইন ডেস্ক,

অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং এ নির্বাসিত সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস নিয়ে দেশে ফিরতে চান। এব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মতামত দিয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রমতে ভ্রমণ অনুমোদন পেলে সালাহউদ্দিন আহমদ খুব শিগ্গীরই দেশে ফিরবেন।

সূত্র জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপর ভিত্তি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও সালাহউদ্দিন আহমদকে দেশে ফেরার জন্য ভ্রমণ অনুমোদনে সম্মতি দিতে পারে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল বুধবার সালাহউদ্দিন আহমদের ‘ট্রাভেল পাসের’ অনুমতি-সংক্রান্ত আবেদনে তাঁরা অনুমোদন দিয়েছেন। সাধারণত ভ্রমণ অনুমোদন হাইকমিশনই দিয়ে থাকে। যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) রয়েছে, তিনি ভারতে জেল খেটেছেন এবং তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সে জন্যই হাইকমিশন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিল।

এর আগে গত ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সালে থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তাঁর বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাঁকে খালাস দিয়েছেন।

আবেদনে সালাহউদ্দিন আহমদ আরও উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভারতে থাকার কারণে তিনি নিজের পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাননি। ভ্রমণ অনুমোদন দেওয়া হলে তিনি নিজের দেশে ফিরতে চান এবং দেশবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে চান।

সালাহউদ্দিন আহমদের একান্ত ঘনিষ্টজন সাংবাদিক নুরুল ইসলাম হেলালী জানান, প্রথম দিন থেকেই তিনি দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। ইতোমধ্যে অনুপ্রবেশের অভিযোগের আইনগত প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। তিনি খালাস পেয়েছেন। সাধারণত বিদেশে গিয়ে কারও পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট দেশের হাইকমিশন ভ্রমণ অনুমোদন দেয়। এই অনুমোদন নিয়ে কোনো ব্যক্তি দেশে ফিরতে পারেন। তাঁর বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখা হচ্ছে বলে মনে হয়। এ কারণে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।

শিলং এ উদ্ধারের পর সালাহউদ্দিন আহমদকে আটক করে বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। সেই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন আহমদ খালাস পান। ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাঁকে সেখানেই থাকতে হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আপিলেও খালাস পান সালাহউদ্দিন আহমদ এবং আদালত তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিজের এলাকা কক্সবাজার-চকরিয়ায় তুমুল জনপ্রীয় সালাহউদ্দিন আহমদ যখন ভারতে আটক হন, তখন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন তিনি। শিলং এ নির্বাসিত অবস্থায় তিনি ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন। এখন সালাহউদ্দিন আহমদ দেশে ফেরার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তাঁর এলাকার মানুষ।

 

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *