Home বানিজ্য নতুন ভ্যাট ব্যবস্থা: প্রত্যাশা ও করণীয় শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত
Oktober ২২, ২০২৪

নতুন ভ্যাট ব্যবস্থা: প্রত্যাশা ও করণীয় শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত

ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ‘নতুন বাংলাদেশে নতুন ভ্যাট ব্যবস্থা: প্রত্যাশা ও করণীয়’ শীর্ষক সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ভ্যাট বার এসোসিয়েশন। আগারগাওয়ের রাজস্ব ভবনে।  সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় আগারগাওয়ের রাজস্ব ভবনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বাংলাদেশ ভ্যাট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৫ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) ড. এম. এ. রউফ।

সভার শুরুতে ড. এম. এ. রউফ বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবোত্তর নতুন বাংলাদেশ বির্নিমানে ভ্যাট দাতা, ভ্যাট আদায়কারী, ভ্যাট আইন কানুন, প্রযুক্তির ব্যবহার, ভ্যাট কর্মকর্তা ও কর্মচারি এবং ভ্যাট পেশাদার শ্রেণি সকলের ভূমিকা রয়েছে। তবে এই ৬টি বিষয়ের মধ্যে পেশাদার শ্রেণির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।

‘যদিও ভ্যাট পেশাদার সংখ্যায় খুবই কম।  আমরা যদি রাজস্ব পেশাদারদের একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ দেখি, আয়কর আইনজীবী প্রায় ২৩,০০০ জন, সিএন্ডএফ পেশাদার ১৩,০০০ জন এবং ভ্যাট পেশাদার মাত্র ৪৫০ জন। অথচ ভ্যাটের আওতা এত বিশাল যে এ সেক্টরে ৫০,০০০ জন পেশাদার হলেও ভ্যাটের কাজের অভাব হবে না বা পেশাদারদের বসে থাকতে হবে না।

বাংলাদেশ ভ্যাট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, ‘ভ্যাট পেশাজীবীগণ ভ্যাটদাতা এবং ভ্যাট আদায়কারীদের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করার জন্য কাজ করে চলছে।  একদিকে সরকারের রাজস্ব আহরণে ভূমিকা রাখে অন্য দিকে ভ্যাট আইন পরিপালনে বিশেষতঃ ব্যবসায়ীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলছে।  বাংলাদেশ ভ্যাট বার এসোসিয়েশন ভ্যাট আহরণে এনবিআরকে সহযোগিতা করতে সদা প্রস্তুত। আসুন আমরা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সহযোগিতার অংশিদারিত্ব প্রসারিত করি।

সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভ্যাট আহরণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার জন্য প্রচলিত চালানপত্রের পরিবর্তে ই-ইনভয়েসিং বা অটোমেটেড ইনভয়েসিং চালু করা দরকার। ই-ইনভয়েসিং হবে রিয়েলটাইম ভিত্তিতে বিক্রির সাথে সাথে ভ্যাট কোষাগারে জমা হয়ে যাবে। ফলে রাজস্ব আহরণ দ্রুত হবে যা ভ্যাট দাতা-গ্রহীতা উভয়ের জন্যই সহজ ও কার্যকরী।

তিনি আরও বলেন,  ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা, ২০১৬ এ প্রতিনিধির সংজ্ঞায় বৈসাদৃশ্য থাকার কারণে লাইসেন্সধারি ভ্যাট পরামর্শক ও লাইসেন্সবিহীন ভ্যাট পরামর্শক সকলেই সমান অথচ আয়কর আইনে প্রতিনিধির সংজ্ঞায় লাইসেন্সবিহীন আয়কর আইনজীবী থাকার কোন সুযোগ নেই।

‘ভ্যাটের বিধি-বিধানে ফাঁক থাকার কারণে লাইসেন্সধারি ভ্যাট পরামর্শকগণ বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে ও যথাযথ পরামর্শ সেবা প্রদানে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারছে না।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অংশগ্রহণকারী ভ্যাট পেশাজীবীগণ আয়কর আইনের ন্যায় ভ্যাট আইনে ও এসআরও জারীর মাধ্যমে একটি ভ্যাট বার স্থাপনের অনুরোধ করেন।  ভ্যাট বার প্রতিষ্ঠিত হলে প্রত্যেক ভ্যাট পরমর্শককে বোর্ডের সহিত নিবন্ধিত কোন ভ্যাট বারের সদস্য হইতে হইবে।  বোর্ড ভ্যাট বারের নিবন্ধন প্রদান করবে এবং বোর্ডের সঙ্গে নিবন্ধিত নয় এইরূপ কোনো ভ্যাট পরমর্শক সমিতি ভ্যাট বার হিসেবে গণ্য হবে না।  মূল্য সংযোজন কর পেশাজীবিদের জাতীয় সংগঠন ‘বাংলাদেশ ভ্যাট বার এসোসিয়েশন’ কে বোর্ডের সঙ্গে নিবন্ধন প্রদানের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *