Home সারাদেশ সুন্দরবনের উপকূলে রাস্তা আটকে মাছের ব্যবসা!
Oktober ৬, ২০২৪

সুন্দরবনের উপকূলে রাস্তা আটকে মাছের ব্যবসা!

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট:

বিশ্ব ঐতিহ্য  বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনসুন্দরবনের উপকূলের বাগেরহাটের মোংলায় রাস্তা আটকে ভটভটি, অটোভ্যান ও ট্রাক রেখে চলছে রমরমা মাছের ব্যবসা। এসময় কোনো যানবাহন চলাচল করতে না পারায় বাড়ছে জনদুর্ভোগ। এছাড়া মাছের পানি পড়ে অনবরত সড়কগুলো ভিজে থাকছে। ফলে যানবাহন চলাচলের সময় পাকা সড়ক নষ্ট হয়ে খোয়া বেরিয়ে পড়েছে। সচেতন মহলের দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সড়কের ওপর মাছের ব্যবসা বন্ধ করা না গেলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কগুলো খানাখন্দে ভরে যাবে। এতে বাড়বে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর শহরের অন্যতম সড়ক তাজমহল রোডের দু’ পাশ আটকে ভোর থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ট্রাক, অটোভ্যানক ও ভটভটি রেখে মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি স্থানে সড়কের ওপরে ভটভটি ও ছোট ট্রাক রেখে মাছে দেওয়া বরফ বিক্রি করা হচ্ছে।

ভুক্তভোগী অটোভ্যান চালক ওয়াহেদ গাজি, মোঃ সোবাহান মল্লিক ও নাসির উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন ১৫-২০ বার এই সড়ক দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু সড়কের দু’ পাশে মাছের ব্যবসা করায় আমাদের সময়ের অপচয়সহ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। মাছের গাড়িতে মাছ উঠানো পর্যন্ত সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। মাছ দেওয়া শেষ হলেই আমরা চলাচল করতে পারি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের।

সাধারণ পথচারী মোংলা সরকারি কলেজের শিক্ষক মনিমোহন অধিকারী বলেন, তার মতন অনেকেরই চলাফেরা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়তে হয়। রাস্তা আটকে দু’ পাশে মাছের ব্যবসার কারণে এই দুর্ভোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবিলম্বে মাছের ব্যবসা পৌর শহরের ফাঁকা স্থানে নিলে ভোগান্তি থেকে তারা পরিত্রাণ পাবেন।

সড়কে দু’ পাশ আটকে মাছের ব্যবসার কারণে জন দুর্ভোগ হচ্ছে স্বীকার করে মাছ ব্যবসায়ী বাবু মোল্লা ও রুবেল হোসেন বলেন, রাস্তার দু’ পাশে মাছের আড়ৎ থাকায় এই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, কি করার আছে বলেন? পৌর কর্তৃপক্ষ এই সড়কটির (তাজমহল রোড) দু’ পাশ আরও বড় করলে এই সমস্যা থাকবে না বলেও জানান তারা।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করাসহ ৫০ এর বেশি ব্যক্তিকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে মাছ ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে বিকল্প কোন জায়গা দেওয়া হবে সেটি নির্ধারণ করা হবে।
(এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির)
বাগেরহাট সংবাদদাতা                     
০১৯১১২১১৯৬৫/০১৭১১৩৭৭৪৫০
তারিখ-০৬.১০.২০২৪।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *