৯ অক্টোবর রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা দেবে জামায়াত
আগামী ৯ অক্টোবর রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে নিজেদের রূপরেখা দেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (৫ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য দিয়েছেন দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, গত তিনটা নির্বাচনে জাতি বঞ্চিত ছিল। আগামী নির্বাচনে যাতে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উপহার দেওয়া যায় সেজন্য মৌলিক কিছু প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। কী কী মৌলিক বিষয়ে সংস্কার করা উচিত সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।
জামায়াত আমীর বলেন, আগামী ৯ অক্টোবর কী কী সংস্কার এই মুহূর্তে প্রয়োজন, কী কী সংস্কার পরবর্তী সময়ে লাগবে সেই বিষয়গুলো জাতির সামনে তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি দেশের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণ এবং সরকার একসঙ্গে কীভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে পারে, সব ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বর্তমানে যে সরকার আছে তারা কোনো ধরনের পক্ষ-বিপক্ষের মানসিকতা না নিয়ে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে দেশকে একটা ভালো পর্যায়ে নিয়ে নির্বাচন দিতে সক্ষম হবে। কারণ এ সরকার একটা নির্দলীয় সরকার। তারা দেশ শাসনে আসেনি। দেশ শাসনের সুষ্ঠু পথ বিনির্মাণের জন্য তারা এসেছেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা শুরু থেকে বলে আসছিলাম সংস্কারের জন্য সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই। সেই যৌক্তিক সময়টা কী হবে? এটা নিয়ে অচিরেই আমরা কাজ করব। এটা দেরি হবে না, এভাবে আমরা সামনে এগোতে চাই। এ সময় দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। জনগণের সঙ্গে সরকারের পার্টনারশিপ লাগবে। জনগণের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও জনগণ যদি একসঙ্গে কাজ করে একটা অভূতপূর্ব দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মের ভাই-বোনেরা উদযাপন করতে পারবেন।
সংস্কারকে এক নম্বর গুরুত্ব দিচ্ছেন জানিয়ে জামায়াত আমীর বলেন, সংস্কারের টাইমলাইন কী হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা দুইটা বিষয় দেশবাসীর পক্ষ থেকে চেয়েছি এবং সরকারের কাছে জানিয়েছি। একটা রোড ম্যাপ হবে সংস্কারের, আরেকটা নির্বাচনের। সংস্কার সফল হলে নির্বাচন সফল হবে। দুইটা বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, প্রফেসর মুজিবুর রহমান, আ ন ম শামসুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।