১৯৭৫ থেকে ২০২৪,১৫ আগস্ট থেকে ০৫ আগস্ট।চাটুকারদের কারনেই কি বারবার একই ভুল?
বালী তাইফুর রহমান তূর্য,সমাজকর্মী ও লেখক।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ড,যা নাড়িয়ে দিয়েছিলো বিশ্ব।কিন্তু কেন সেই দিনটিও আজ উপেক্ষার পথে,একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতার উপরেও কেন এত ক্ষোভ জন্মালো মানুষের?এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়।কিন্তু এমন নৃশংসতার নেপথ্যে আসলে কি ছিলো?
“বাকশালের” ঘোষণা থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড,”রাজাকার” গালি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গন অভ্যুত্থানে বারবারই প্রশ্ন জেগেছে নেতাদের পাশে চাটুকারদের আধিপত্যর কুফল। বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৫৪ সালের ছয় দফা,১৯৬৯ এর গন অভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সং্খ্যাগড়িষ্ঠতা পাওয়া,১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের অধ্যায়গুলোতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কৃতিত্ব কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদল সদস্য সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত করে এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডি ৩২-এর বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করে। পরে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ থেকে ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ পর্যন্ত খন্দকার মোশতাক আহমেদ অঘোষিতভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হন।
কিন্তু গভীর ভাবনার বিষয় হলো ১৯৭২ সালে দেশ পুন:গঠনের দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করার মাত্র তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে কেন তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো?এমনকি তার লাশ ধানমণ্ডির বাসভবনে দুইদিন পর্যন্ত পরে ছিলো,জানাজায় পর্যন্ত তেমন লোক পাওয়া যায়নি।তার মৃত্যুতে কেন ট্যাংকের উপরে উঠে উন্মাদ নৃত্য হয়েছিলো,আবার তারা তার মেয়ের মন্ত্রীসভার মন্ত্রীও ছিলো?কেন সেদিনও কিছু মানুষ খুশিতে মিস্টি বিলিয়েছিলেন?কেন এমন বিভৎস একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো?
আমরা এর ইতিহাস জানার অনেক চেষ্টা করেছি,বিশ্বনেতাদের সাথে মিলিয়েছি।কি ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো তা খুজে বের করার চেষ্টা করেছি।বিভিন্ন তথ্যসূত্র এবং জনশ্রুতিতে যা শেষ পর্যন্ত পাওয়া যায় তার মধ্যে রক্ষী বাহিনী গঠন,নেতাদের উগ্রতা এবং অন্যতম বড় ভুল ছিলো বাকশাল গঠন করার পদক্ষেপ নেয়া।
যেই নেতার কথায় সকলেই “জয় বাংলা” স্লোগান দিয়ে সকলে যুদ্ধ করলেন মাত্র তিন বছরে কেন তাদের অধিকাংশই পুরোপুরি বিরুদ্ধে চলে গেলেন,এটি একটি বড় ভাবনার বিষয় ছিলো।১৯৭০ সালের নির্বাচনে যেই দলটি পুরো পাকিস্তানের সং্খ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলো সেই দলটিই কেন মাত্র তিন বছরের মাথায় নিজের স্বাধীন দেশের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছিলো?১৯৭৩ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার আওয়ামী লীগ একটি দুর্দান্ত বিজয় অর্জন করেছিল।
যদিও তখন একমাত্র জাসদ ছাড়া কোনো বিরোধী দলই ছিলো না।এমনিতেই তারা জিতে যেতো কিন্তু তার পরেও তার সমর্থকরা ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে ।ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার মুখে ২৮ ডিসেম্বর ১৯৭৪ শেখ মুজিবুর রহমান জরুরি অবস্থা জারি করেন, যা তাকে কোনো রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতা প্রধান করে।বাকশালকে তিনি ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।
১৯৭৪ সালে সারাদেশ যখন দুর্ভিক্ষ চলছে তখন কর্নেল তাহের একটি গোপন সশস্ত্র বিপ্লবী-গণবাহিনী গড়ে তোলেন। জাসদ প্রতিটি সেনানিবাসে গড়ে তোলে তাদের বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা। ১৯৭৩ সালের জাসদের প্রথম জাতীয় অধিবেশনেই মার্কসবাদ, লেনিনবাদ ও মাওপন্থী চিন্তাধারাকে তাদের আদর্শ এবং বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রকে লক্ষ্যে স্থির করে শেখ মুজিব সরকারকে একটি ‘বুর্জোয়া শোষক শ্রেণি’ সরকার বলে আখ্যায়িত করা হয়।অপরদিকে সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে শ্রেণিমুক্ত ‘স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলা’ গঠন করার লক্ষ্যে আরেক স্লোগানধারী সিরাজ শিকদারের নেতৃত্বে পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টির ক্যাডারেরা ১৯৭২-৭৩ সালের দিকে কমপক্ষে ৪৯২৫টি গুপ্তহত্যা করেছিল।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংসদের মাধ্যমে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাশ হয়। এতে সব রাজনৈতিক দল ভেঙ্গে যায় এবং তার একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীবলে বহুদলীয় সংসদীয় সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন করে একদলীয় ও রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় এবং দেশের সমগ্র রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে বাকশাল নামক এই একক রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়।দলটি দ্বিতীয় বিপ্লব নামক তত্ত্বের অধীনে সংস্কারগোষ্ঠীর একটি অংশ হিসেবে রাষ্ট্র সমাজতন্ত্রের পক্ষে মত দেয়। দ্বিতীয় বিপ্লবের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য বাকশাল ছিল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী পরিষদ।
আর ধারণা করা হয় অন্যান্য অনেক ভুল সিদ্ধান্তের সাথে মূলত এই বাকশাল কায়েমের সিদ্ধান্তই তাকে শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত করে ফেলে এবং ঘাতকের হাতে স্বপরিবারে নিহত হন।কিন্তু এখানে একটি বড় প্রশ্ন হলো কারা তাহলে শেখ মুজিবুর রহমানকে এই বাকশালের বুদ্ধিটা দিয়েছিলেন?নিশ্চয়ই তার পাশে থাকা কর্মীদেরই কেউ না কেউ এটি তার মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন।অথবা যদি এটি তার নিজের বুদ্ধিও হয়,তাহলে কর্মীরাও বা বুঝালেন না কেন যে এই সিদ্ধান্তটি মোটেই ঠিক হবে না?অর্থাৎ ধারণা করা যায়, শেখ মুজিবুর রহমানের আসেপাশেও তখন চাটুকারদের আধিপত্য ছিলো। তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মুনসুর আলীর মতো লোক খন্দকার মোশতাকের ঠেলায় ভিড়ে পেছনে পরে যেতেন,পাশে ঘেষতেই কস্ট হতো।এমন অনেক ছবি দেখা যায় যেখানে খন্দকার মোশতাক তার পাশে দাঁড়ানো,কিন্তু তাজউদ্দীন পেছনে পরে আছেন।বিশ্বস্তরা থাকতেন নীরব তাই তাদের পরামর্শ অনেক সময়ই হয়তো গ্রহনযোগ্যতা পেতো না।চাটুকারদের জি হুজুর জি হুজুরেই তখন এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল।
যেমনটি ফের পুনরাবৃত্তির কাছে চলে গিয়েছিলো ২০২৪ সালে তার কন্যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেলাতেও।তিনিও দলটিতে অতিরিক্ত চাটুকার ঢুকিয়ে কান কথা বা সঠিক পরামর্শের অভাবে অহংকারী হয়ে উঠেছিলেন।যেভাবে মাওলানা ভাসানী,মাওলানা তর্কবাগীশ চলে গিয়েছিলেন নিরবে তেমনি ড, কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী, জয়নাল হাজারী,সোহেল তাজরা বিশ্বস্ত হলেও দলে থাকতে পারেননি চাটুকারদের ভিড়ে।চাটুকারদের কেউই তাকে থামানোর সাহস করেনি,সুবুদ্ধি দেওয়ার সাহস করেনি,স্রেফ জি হুজুর জি হুজুর বলে বলে তাকে আর থামার বিষয়টি ভাবতে দেননি।ছাত্রদের উপরে গুলি চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন।অথচ গত ০৫ আগস্টের ঘটনার পেছনের নিয়ামক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় কোটা পদ্ধতির সংস্কারে ২০১৮ সালের পরিস্থিতি মনে করেই যেই ছেলে রায়ের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করেছিলো তাকে ডেকে বুঝানো যেতো যে আগুনে ঘি ঢেলো না।অথচ তা না করে উল্টো শিক্ষার্থীদের স্লোগান “মেধা না কোটা” র ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মেধাবীদের রাজাকারের বাচ্চা, নাতিপুতি বলে ফেলেছেন এবং সেই বাক্যের উচ্চারণে ক্ষোভ,জিদ এবং তিরস্কার ঠাসা ছিলো যা ছাত্রদেরকে খেপিয়ে তুলেছিলো।আবার হাইকোর্টের রায়ের শুনানির তারিখটি এগিয়ে আনাও সম্ভব ছিলো,কিন্তু গুরুত্ব না দিয়ে সেখানেও কালক্ষেপণ করা হয়েছে যা আন্দোলনের আগুনকে আরও উত্তপ্ত করেছে।এরমধ্যে ঘি ঢেলো আগুন বারিয়েছেন ওবায়দুল কাদের সাহেবের অতি কথন ও ছাত্রলীগের নির্বোধ কর্ম ছাত্রদের উপর হামলা চালানো।এবং শেষ ভুল ছিলো আন্দোলন দমাতে মরনাস্ত্রের বুলেট ব্যবহার করে হাজার হাজার ছাত্র জনতাকে হত্যা,আহত করা,যা ছাত্র ও সাধারণ মানুষের রক্তে আগুন লাগিয়ে দাবানলে পরিনত হয়েছিলো।সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ না হলে হয়তো আরেকটি ১৫ ই আগস্টের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে যেতে পারতো।অথচ একদম সামান্য বিষয়ে ছাত্রদের ডেকে এবং রিটকারীকে ডেকে তার রিটটি তুলে নিতে বললেই সব শেষ হয়ে যেতে পারতো।অর্থাৎ এটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় হয় শেখ হাসিনার চারদিকে সব চাটুকার ছিলো,সুবুদ্ধি দেওয়ার কেউ ছিলো না।অথবা সুবুদ্ধিদাতারা চাটুকারের ভিড়ে তার কাছে যেতেই পারতেন না।
অথচ বিশ্বে আরও বিপ্লবী নেতা ছিলেন যারা দীর্ঘদিন পর্যন্ত রাস্ট্র চালিয়েছেন অধিকাংশ নাগরিকদের মন জয় করেই।
বিশ্বের বিপ্লবী অবিসংবাদিত নেতাদের মধ্যে ফিদেল কাস্ত্রোও একজননেতা ছিলেন ১৯৫৯ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত কিউবার।১৯৫৯ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত কিউবার প্রধানমন্ত্রী এবং ১৯৭৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আদর্শগতভাবে একজন মার্কসবাদী – লেনিনবাদী এবং কিউবার জাতীয়তাবাদী।তিনি ১৯৬৫ সাল থেকে কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন ।২০১১ সালে তার প্রশাসনের অধীনে, কিউবা একটি একদলীয় কমিউনিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত হয়।শিল্প ও ব্যবসা জাতীয়করণ করা হয় এবং সমাজ জুড়ে সমাজতান্ত্রিক সংস্কার বাস্তবায়িত হয়।২০ এবং ২১ শতকে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য অ-রাজকীয় রাষ্ট্রপ্রধান, কাস্ত্রো বিশ্ব জনমতকে মেরুকরণ করেছিলেন। তার সমর্থকরা তাকে সমাজতন্ত্র ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখেন যার বিপ্লবী সরকার আমেরিকান আধিপত্য থেকে কিউবার স্বাধীনতা রক্ষা করার সময় অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিয়েছিল । তার সমালোচকরা তাকে একজন স্বৈরশাসক হিসেবে দেখেন যার প্রশাসন মানবাধিকার লঙ্ঘন , অনেক কিউবানের দেশত্যাগ এবং দেশের অর্থনীতির দারিদ্রতাকে তত্ত্বাবধান করে।
আবার যদি নেলসন ম্যান্ডেলার ইতিহাস দেখি,তিনি ১৮ জুলাই ১৯১৮ জন্ম নিয়ে ৫ ডিসেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত বেচে ছিলেন।তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ-বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী, রাজনৈতিক নেতা এবং প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশটির প্রথম কৃষাঙ্গ রাষ্ট্রপ্রধান। আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্রের আদর্শের ধারক ম্যান্ডেলা ১৯৯১ থেকে ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।ম্যান্ডেলা ২৭ বছর কারাবাস করেন। এর অধিকাংশ সময়ই তিনি ছিলেন রবেন দ্বীপ, পলসমুর কারাগার ও ভিক্টর ভার্স্টার কারাগারে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চপের মুখে এবং বর্ণবাদী গৃহযুদ্ধের আতঙ্কে রাষ্ট্রপতি এফ. ডব্লিউ. ডি ক্লার্ক ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ১১ই ফেব্রুয়ারি তাকে কারামুক্ত করার নির্দেশ দেন। কারামুক্তি লাভের পর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ সরকারের সঙ্গে বর্ণবাদ নিপাতের প্রচেষ্টায় শান্তি আলোচনায় অংশ নেন। এর ফলশ্রুতিতে ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে সব বর্ণের মানুষের অংশগ্রহণে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ম্যান্ডেলা তার দল এএনসি’র হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং জয়লাভ করে রাষ্ট্রপতিত্ব গ্রহণ করেন। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের অবসান ঘটে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
আবার,মহাত্মা গান্ধী,ইন্দিরা গান্ধী,রাজীব গান্ধী,বেনজির ভূট্টোর মতো নেতাদেরকেও ঘাতকের গুলিতে প্রান হারাতে হয়েছে।অর্থাৎ রাজনীতিতে বিশ্বস্ত সহচর এবং সঠিক পরামর্শদাতা কর্মী অধিক প্রয়োজন।