গাজা শহরকে সম্পূর্ণভাবে খালি করতে চায় ইসরাইল: বিবিসি
গাজা শহরকে সম্পূর্ণভাবে খালি করতে চায় ইসরাইল। এ লক্ষ্যে উত্তরাঞ্চলে আবার তীব্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইইহুদিবাদী দেশটি। এরমধ্যে নেতানিয়াহুর বাহিনী সেখানকার সকল নাগরিককে ওই অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। উড়োজাহাজ থেকে লিফলেট ফেলে এই নির্দেশ দিয়েছে তেল আবিব। ইসরাইল ওই অঞ্চলটিকে ‘বিপজ্জনক যুদ্ধাঞ্চল’ বলে অভিহিত করেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর দ্বিতীয়বারের মতো গাজা শহরকে সম্পূর্ণভাবে খালি করার নির্দেশ দিয়েছে তেল আবিব। এভাবে বেসামরিক লোকজনকে উৎখাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। দুই সপ্তাহ ধরে গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)।
বিবিসির খবরে আরও বলা হয়, ইসরাইল উত্তরাঞ্চলটিকে ‘বিপজ্জনক যুদ্ধাঞ্চল’ বলে অভিহিত করেছে। তেল আবিবের লিফলেটে নির্দিষ্ট উপায়ে নিরাপদে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে তারা দুটি পথ বাতলে দিয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী নিরস্ত্র গাজাবাসীকে হয়তো দেইর আল-বালাহ নয়তো আল-জাওয়াইদাতের আশ্রয়শিবিরের দিকে যাত্রা শুরু করতে হবে।
ইসরাইলের অজুহাত, হামলাকৃত অঞ্চলে হামাস এবং ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের যোদ্ধারা লুকিয়ে আছে, যাদের নিধনের নামে ওইসব অঞ্চলে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে তেল আবিবের বাহিনী। তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্বেগ হচ্ছে হামাস নির্মূলের নামে গাজায় বেসামরিক নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে ইসরাইল।
কেননা, গাজায় যাদের হত্যা করা হচ্ছে তাদের বেশির ভাগ নারী এবং শিশু। হামাস বলছে- গাজায় ইসরাইলের এই নির্দেশের মাধ্যমে তারা যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা থেকে সরে যাওয়ার টালবাহানা শুরু করেছে। বুধবার মিশর, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের গোয়েন্দা প্রধানের পাশাপাশি কাতারের প্রধানমন্ত্রী ওই যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বরাবরই গড়িমসি করে আসছে ইসরাইল। হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা হোসাম বদরান এএফপিকে বলেছেন যে, ইসরাইল বোমা হামলা, বাস্তুচ্যুতি এবং গণহত্যা জোরদার করে আলোচনায় চাপ দেয়ার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে ইসরাইল তাদের ‘সতর্ক লাইন’ সংরক্ষিত করার ওপরে জোর দিয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। উল্লেখ্য, গাজা সিটিতে বর্তমানে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষের বসবাস রয়েছে। এরমধ্যে কিছু বাসিন্দাকে দক্ষিণে সরে যেতে দেখা গেছে। আর বাকি জনগণ সেখান থেকে সরতে রাজি নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।