Home সারাদেশ মঞ্চে বসে শিক্ষকের মদপান, এলাকায় তোলপাড়
জুন ২৩, ২০২৪

মঞ্চে বসে শিক্ষকের মদপান, এলাকায় তোলপাড়

আব্দুস সালাম দরদী পেশায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেন মানুষের মতো মানুষ হতে; কিন্তু তিনি নিজেই অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

প্রকাশ্যে মদ্যপানের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চে বসে মদপান করার ভিডিও যুগান্তরের হাতে এসেছে।

আব্দুস সালাম দরদী মদন পৌরসভার বাড়িভাদেরা এলাকার বাসিন্দা। তিনি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের ধর্মরায় রামধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি খালিয়াজুরী উপজেলার নূরপুর বোয়ালী গ্রামের লাট মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের বিখ্যাত বাউল সাধক ও মরমী কবি উকিল মুন্সীর ১৩৯তম জন্মদিন উপলক্ষে নিজ গ্রাম নূরপুর বোয়ালী গ্রামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে রাতভর উকিল মুন্সীর গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা বাউল শিল্পীরা।

যুগান্তরের হাতে আসা ভিডিওতে দেখা গেছে, সেই অনুষ্ঠানে মঞ্চের একপাশে চেয়ারে বসে মদপান করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম দরদী।
এছাড়াও শিক্ষক আব্দুস সালাম দরদীর মদপানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি প্রায়ই মদপান করেন বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একজন শিক্ষক (সরকারি চাকরিজীবী) হয়েও প্রকাশ্যে মাদক সেবন করায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী একাধিক ব্যক্তি জানান, সালাম দরদী একজন শিক্ষক। তিনি সরকারি চাকরি করেন। কিন্তু মঞ্চে বসেই মদ খেয়েছেন। মদ খেয়ে মাতলামিও করেছেন। একজন শিক্ষক যদি মাদকাসক্ত হয় এবং প্রকাশ্যে মদপান করে তাহলে ছাত্রদের কী শিক্ষা দেবে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তারা।

জানতে চাইলে ওই শিক্ষক আব্দুস সালাম দরদী জানান, একটা চক্র শক্রতা করছে আমার সঙ্গে। এ বিষয়টা (মদ খাওয়ার) নিয়ে যেন কোনো সমস্যা না করে আমার একজন আত্মীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে সমাধান করে দিয়েছিল। এরপরও বিষয়টি নিয়ে বারবার কথা হচ্ছে। ঘটনাটি একটু পজিটিভভাবে দেখার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খান বলেন, সরকারি চাকরির নীতিমালা অনুযায়ী কেউ মদপান করতে পারেন না। শিক্ষক যদি মদপান করেন তা আরও দুঃখজনক। আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক প্রকাশ্যে মদপান করেছে বিষয়টি মাত্রই জানলাম। এ ব্যাপারে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *