সরকার বিপদে আছে, বলছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার খুবই বিপদে আছে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে ভয়াবহ সংকটে রয়েছে সরকার। তারা চিকন সুতার ওপর হাঁটছে। যেকোনো মুহূর্তে সেই সুতা কেটে যেতে পারে।
রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হওয়ার কাছাকাছি চলে গেছে। সরকার বিপদে আছে। জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। বিদ্যুতের দাম বাড়বে। বাজারে প্রতিদিন আগুন লাগছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার দেশকে গভীর অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে গেছে। চিকন সুতার ওপর হাঁটছে। গণরোষ, গণজাগরণ ও গণবিস্ফোরণে সুতা কেটে সরকার ভূপতিত হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রবল সর্বগ্রাসী ক্ষমতা জাতির ওপর চেপে বসেছে। মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। মানুষের পেটে ভাত নেই। সঞ্চয় ভেঙেও পুষ্টিকর খাবার কেনা দূরে থাক, পেট ভরার জিনিসও কিনতে পারছে না। পোশাকশ্রমিকদের যে বেতন, তাতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সরকার ব্যাংকগুলোকে ‘ফোকলা’ করে দিয়েছে উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। একটি শিল্পগ্রুপকে সাতটি ব্যাংক দেওয়া হয়েছে। লুটপাট চলছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তানিয়া রব বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো ঘটনা ঘটেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও। আওয়ামী লীগের চার-পাঁচজন প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। নিজেদের মধ্যে লড়াই হয়েছে। কিন্তু এরপরও ভোট পড়েছে মাত্র ২০-২২ শতাংশ।
গণতন্ত্র মঞ্চ চট্টগ্রামের সমন্বয়ক ও জেএসডির আহ্বায়ক জবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক হাসান মারুফের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, মাওলানা ভাসানী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, জেএসডির লক্ষ্মীপুর জেলার আহ্বায়ক আবদুল মোতালেব, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় কমিটির সদস্য এস এম রুবেল, বান্দরবান জেলার গণসংহতি আন্দোলনের সদস্য মং চাই মারমা, নোয়াখালী জেএসডির সাধারণ সম্পাদক নুরুল রহমান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাবেদ প্রমুখ।