মুশফিকের ১০০, মুশফিকের ৫০; প্লে–অফের আরও কাছে বরিশাল
ফরচুন বরিশালের ইনিংসের তখন ১৫তম ওভার। মিডিয়াম পেসার বেনি হাওয়েলের প্রথম বলটিতেই সুইপ খেললেন মুশফিকুর রহিম। বল উড়ে গেল মিডউইকেট বাউন্ডারির ওপর দিয়ে। ম্যাচে নিজের তৃতীয় এই ছক্কায় এক শর একটি মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললেন মুশফিক।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে বিপিএলে ১০০ ছয়ের মালিক হলেন ফরচুন বরিশালের উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান। তিন দিন আগে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে মাইলফলকটি ছুঁয়েছিলেন মুশফিকের দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এ দুজন বাদে বিপিএলে ১০০ ছয় আছে শুধু ক্রিস গেইলের।
আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে শুধু ছক্কার সেঞ্চুরিই নয়, ব্যাট হাতে ফিফটিও করেছেন মুশফিক। রানআউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৩২ বলে ৫২ রানের ইনিংস। যে ইনিংসে ছিল ৩টি করে চার ও ছয়।
মুশফিকের পঞ্চাশ ও এক শ ছোঁয়ার ম্যাচে বরিশাল সিলেটকে হারিয়েছে ১৮ রানে। বরিশালের ৬ উইকেটে তোলা ১৮৩ রান তাড়া করতে নেমে সিলেটের ইনিংস আটকে যায় ৮ উইকেটে ১৬৫ রানে। এই হারে এবারের বিপিএলে লিগপর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে সিলেটের। বাকি থাকা দুই ম্যাচে জিতলেও প্লে–অফে ওঠা হবে না গতবারের ফাইনালিস্টদের।
সাকিব এখন বিপিএল সেরার আলোচনায়, রংপুরের প্লে-অফ নিশ্চিত
বড় রান তাড়া করতে নেমে সিলেটের শুরুটা ছিল খুবই ধীর। প্রথম ৪ ওভারে কোনো বাউন্ডারিই আসেনি, রান ছিল ২ উইকেটে ১০। ১০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ড পরিণত হয় ৬ উইকেটে ৪৫ রানে। হারের ব্যবধানটা যে শেষ পর্যন্ত ১৮ হলো, এতে অবদান হাওয়েল ও আরিফুল হকের সপ্তম উইকেট জুটির। ৫২ বলের জুটিতে দুজনে তোলেন ১০৮ রান। তবে ১৯তম ওভারে আরিফুল আর পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে হাওয়েল আউট হয়ে গেলে সিলেট শেষের হিসাব মেলাতে পারেনি। আরিফুল ৩১ বলে ৫৭ আর হাওয়েল ৩২ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন।
এর আগে ফরচুন বরিশালের হয়েও বেশির ভাগ রান তুলে যান দুজন—মুশফিক ও কাইল মায়ার্স। মুশফিকের আগে তিনে নামা ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান মায়ার্স খেলেন ৩১ বলে ৪৮ রানের ইনিংস।
এই ম্যাচ শেষে ১০ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে বরিশাল। এরই মধ্যে প্লে–অফ নিশ্চিত হয়ে যাওয়া রাইডার্স ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কুমিল্লার পয়েন্ট ৯ ম্যাচে ১৪। এক ম্যাচ বেশি খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে খুলনা। সমান পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রাম আছে পঞ্চম স্থানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফরচুন বরিশাল: ২০ ওভারে ১৮৩/৬ (তামিম ১৯, শেহজাদ ১৭, মায়ার্স ৪৮, সৌম্য ৮, মুশফিক ৫২, মাহমুদউল্লাহ ১২*, মিরাজ ১৫, সাইফউদ্দিন ০*; আরিফুল ২–০–১৭–০, শফিকুল ৪–০–৩৪–১, তানজিম ৪–০–৪৮–৩, টেক্টর ৪–০–২৯–১, হাওয়েল ৪–০–৪০–০, সানজামুল ২–০–১২–০)।
সিলেট স্ট্রাইকার্স: ২০ ওভারে ১৬৫/৮ (টেক্টর ০, জাকির ৫, নাজমুল ০, পেরেরা ১৭, মিঠুন ১০, হাওয়েল ৫২, বার্ল ৩, আরিফুল ৫৭, তানজিম ৯*, সানজামুল ২* ; মায়ার্স ৪–১–১২–৩, সাইফউদ্দিন ৪–০–২৮–১, ম্যাকয় ৪–০–৪৫–১, মহারাজ ৪–০–৩১–১, মিরাজ ২–০–১৮–১, খালেদ ২–০–৩১–০)।
ফল: ফরচুন বরিশাল ১৮ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কাইল মায়ার্স।