Home সারাদেশ আদালত ভবন থেকে স্ত্রীকে নিচে ফেলে দিয়ে ঝাঁপ দিলেন স্বামীও
জানুuari ১৫, ২০২৪

আদালত ভবন থেকে স্ত্রীকে নিচে ফেলে দিয়ে ঝাঁপ দিলেন স্বামীও

মেহেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় সোমবার হাজিরা দিতে এসেছিলেন বাদী ও বিবাদী পক্ষ। দুপুরের দিকে আদালতের তিনতলার বারান্দা থেকে স্ত্রীকে জাপটে ধরে নিচে ফেলে দিয়ে নিজেও ঝাঁপ দেন স্বামী। উভয়েই নিচে কংক্রিট ব্যাডমিন্টন কোটে পড়ে মারাত্মক আহত হন।

কোর্ট চত্বরে অবস্থানরত লোকজন ফায়ার সার্ভিসে ফোন করেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ও কোর্ট চত্বরে অবস্থানরত লোকজন তাদের মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেন। স্বামীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জানা গেছে, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সওড়াতলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মামুনুর রশিদ ও পাশের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের ফরিদুল ইসলামের মেয়ে সিমা আক্তারের প্রায় একযুগ আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী সিমাকে স্বামী মামুনুর যৌতুকের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কখনো কখনো শারীরিক নির্যাতনও করতেন। একপর্যায়ে সিমা আদালতে মামলা দায়ের করেন।

সোমবার মামলায় হাজিরা দিতে আসে উভয়পক্ষ। মামলার বাদী, আসামি ও তাদের অভিভাবকরা আদালত ভবনের তিনতলার এজলাসের সামনে বারান্দায় অবস্থান করছিলেন। একপর্যায়ে মামুনুর সিমাকে জাপটে ধরে ৩ তলা থেকে নিচে ফেলে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে নিজেও নিচে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

সিমা জানান, হঠাৎ করেই মামুন এসে তাকে জাপটে ধরে নিচে ছুড়ে মারে। পাশে থাকা অনেকেই দেখেছে তাকে ফেলে দেওয়ার দৃশ্য। সে আমাকে হত্যার উদ্দেশেই নিচে ফেলে দেয়।

হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন থাকা মুমূর্ষু অবস্থার কারণে মামুনুরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী আরমান আলী বলেন, ছেলেটা দূরে ছিল। দৌড়ে এসে মেয়েটিকে জাপটে ধরে নিচে ছুড়ে মারে। সঙ্গে সঙ্গে তিনিও নিচে লাফ মারেন।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *