রাশিয়ার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে নিহত ৩১
কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এই হামলায় অন্তত নিহত হয়েছেন ৩১ জন এবং আহত হয়েছেন ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ। নিহতরা সবাই বেসামরিক নাগরিক।
শুক্রবার রাতভর রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় এই হামলা চালায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় এসব তথ্য নিশ্চিত করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। খবর রয়টার্সের।
জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ার অস্ত্রাগারে যত গোলাবারুদ-ক্ষেপণাস্ত্র ছিল, তার প্রায় সবই উজাড় করে দিয়েছে রুশ বাহিনী….অন্তত ১১০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং অজস্র ড্রোন ছোড়া হয়েছে পুরো ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে। তবে আমরা অধিকাংশই ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছি।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি অভিযান শুরুর পর থেকে এই প্রথম এত বড় মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি জানিয়েছেন, বিমান বাহিনীর সেনারা মোট সেসবের মধ্যে ৮৭টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ২৭টি ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছেন। শুক্রবার রাত থেকে ইউক্রেনের সামরিক ও অবকাঠামোগত স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল এসব ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, রাশিয়ার এ হামলা শুরু হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে। যা সারারাতব্যাপী চলে। এ সময়ের মধ্যে ছয়টি শহরের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়। যার মধ্যে রয়েছে রাজধানী কিয়েভও। এছাড়া যুদ্ধক্ষেত্র থেকে অনেক দূরের লভিভেও পৌঁছেছে রুশ বাহিনীর মিসাইল।
জেলেনস্কি দাবি করেছেন, বেশিরভাগ মিসাইল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কিছু মিসাইল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এতে অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন অনেকে।