তবে কি ভাঙছে ঐশ্বরিয়ার সংসার?
১ নভেম্বর ৫০ বছরে পা দিয়েছেন বলিউড সেনসেশন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন; কিন্তু এবারের জন্মদিন বড্ড ফিকে ছিল সাবেক বিশ্বসুন্দরীর। শ্বশুরবাড়ির কেউ শুভেচ্ছা বার্তা দেননি, অভিনেত্রীর পাশে দেখা মেলেনি স্বামী অভিষেক বচ্চনেরও।
রোববার মণীশ মালহোত্রার বাড়ির দীপাবলি উদযাপনের অনুষ্ঠানেও একা এলেন ঐশ্বরিয়া।
নিন্দুকেরা বলেন, ননদ ও শাশুড়ির সঙ্গে আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক অভিনেত্রীর। স্বামীর সঙ্গেও নাকি নিত্যদিন ঝামেলা হয় তার। সেই কথা নিজের মুখেই বলেন অভিষেক। তবু কোন জাদুবলে এখনো টিকে রয়েছে তাদের সম্পর্ক?
নামজাদা পরিবারের সদস্য সাবেক বিশ্বসুন্দরী বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। ২০০৭ সালে অমিতাভ বচ্চনের ছেলে অভিষেক আর ঐশ্বরিয়া বিয়ে করেন। তাদের এক মেয়ে আরাধ্যা বচ্চন।
ইদানীং শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে দূরত্ব নাকি বাড়ছে ঐশ্বরিয়ার। স্বামী অভিষেকের সঙ্গেও নাকি নিত্যদিন ঝামেলা লেগেই আছে। এর আগেও একাধিকবার গুঞ্জন উঠেছে বচ্চন পরিবারকে ঘিরে। কয়েকবার অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার বিবাহবিচ্ছেদের কানাঘুষাও শোনা গেছে। তবু প্রতিবার নিন্দুকদের ভুল প্রমাণ করেছেন তারা।
এক সাক্ষাৎকারে নিজের মুখেই ঝগড়ার কথা স্বীকার করে নেনে জুনিয়র বচ্চন। ২০১০ সালের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমাদের তো রোজ ঝগড়া হয়।
যদিও তখন তাদের বিয়ের বয়স ছিল মোটে তিন বছর। অভিষেক যেমন তাদের দাম্পত্যের এ দিকটা তুলে ধরেন- পাশপাশি বলেন, আমাদের মধ্যে মূলত বাদানুবাদ হয়, বড় কোনো অশান্তি নয়। তাছাড়াও আমরা রাগ করে ঘুমোতে যেতে পারি না। রাতে ঘুমোনোর আগে সব অশান্তি মিটিয়ে নিই।
তবে সেই মিটমাট করার দায়িত্ব নাকি অভিষেকের, ঐশ্বরিয়া এগিয়ে আসেন না একেবারেই। অভিনেতা বলেন, অশান্তি মেটানোর প্রথম পদক্ষেপ আমাদের ছেলেদের করতে হয়। যদি তাড়াতাড়ি পুরুষ ভুলটা মাথা পেতে নেয়, তাহলে আর কোনো অশান্তিই থাকবে না। হতেই পারে তুমি ঠিক, তবে সেটা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
তবে পুরো বিষয়টা মজার ছলেই বলেছিলেন অভিষেক সেই সময়। তবে বর্তমান সময়ে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে তাদের সম্পর্ক, তা বোঝা দায়।