ভুল করে ‘সত্য’ বললেন সাকিব!
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের কোচ আসুক কিংবা ক্রিকেটার; একটা প্রশ্ন যেন অবধারিত। ব্যাটিং অর্ডারে এতো অদলবদল কেন? শান্ত সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছিলেন, এই প্রশ্নের উত্তর তিনি জানেন না। কোচ-অধিনায়ক বলতে পারবেন। তবে দলের প্রয়োজনে যেকোন অর্ডারে ব্যাট করতে তাদের সমস্যা নেই।
হেড কোচ হাথুরুসিংহে সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছেন, খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেই ব্যাটিং অর্ডার ঠিক করা হচ্ছে। তারা বিষয়টি সম্পর্কে ও ভূমিকা সম্পর্কে অবগত। তাদের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে সমস্যা নেই মানে বিষয়টি ঠিক আছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব ওই ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রশ্নে জানান, মিরাজ খুব ভালো ব্যাটিং করছিল। সেজন্য তাকে ওপরে খেলানো। তার থেকে সেরাটা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন তারা। এছাড়া প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারদের নির্দিষ্ট অর্ডারে ব্যাটিং দিলেই কী সব ঠিক হয়ে যেত? রান হতো? এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।
ওই ম্যাচে ছয়ে ব্যাট করে সেঞ্চুরি করেন মাহমুদউল্লাহ। সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কথা বলার জন্য এটা সঠিক সময় নয়। তাকে দল থেকে একটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি চেষ্টা করছেন সেটা করার।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ হারের পর সাকিব আবার ওই ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন। ছয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরি করলেন তাকে পরেই ম্যাচেই কেন আবার আটে নামিয়ে দেওয়া হলো? উত্তরে সাকিব বলেছেন, ‘আমাদের অনেক সীমাবন্ধতা আছে। বিভিন্ন সময়ে আমরা বোলিং করতে, বিভিন্ন পজিশনে ব্যাটিং করতে, বিভিন্ন বোলারকে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। আমাদের এগুলো এডজাস্ট করতে হয়। এজন্য ব্যাটিং অর্ডারে শাফল করা।’
অথচ বিশ্বকাপের আগে সেই বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, দলের প্রয়োজনে যে কাউকে যেকোন পজিশনে ব্যাটিং করতে হবে। এবার সাকিব যেন ভুল করে সত্য বলে ফেললেন যে, ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে ব্যাটাররা ব্যাটিং করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না।
তামিম ইকবালও তার ব্যাটিং অর্ডারে শাফল করার বিষয়টি পছন্দ করেননি। তাকে একটি ম্যাচে চার-পাঁচে ব্যাটিং করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বোর্ডের পক্ষ থেকে। তামিম স্বাচ্ছান্দ্যের ব্যাটিং পজিশন ওপেনিং ছেড়ে ওই অর্ডারে ব্যাট করতে রাজি হননি। বিষয়টিকে তার ‘নোংরামি’ মনে হয়েছিল। যে কারণে বিশ্বকাপে খেলতে চাননি তিনি। বোর্ডও বিষয়টি সমাধানে নেয়নি কোন পদক্ষেপ।