ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজায় ২৭০৪ শিশুসহ ৬৫৪৬ ফিলিস্তিনি নিহত
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার সংঘাত যেন ইসরায়েলকে নির্বিচারে গণহত্যা করার এক লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে। হামাসের হামলার সূত্রপাত ধরেই ইসরায়েল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অব্যাহত বোমা হামলা শুরু করে দেয়। যা এখন পর্যন্ত চলমান। এখন পর্যন্ত অন্তত ছয় হাজার ৫৪৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে ইসরায়েলি বর্বরতায়। যার মধ্যে শিশুর সংখ্যা ২ হাজার ৭০৪। এ ছাড়া আহত হয়েছে ১৭ হাজার ৪৩৯ জন। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার এসব তথ্য জানান।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর নির্বিচার হামলায় একদিনে সর্বোচ্চ ফিলিস্তিনির মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় গাজা উপত্যকায় রেকর্ড ৭৫৬ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে ৩৪৪জনই ছিল শিশু। মঙ্গলবার গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে মুখপাত্র বলেন, নিরলস আক্রমণ এবং গুরুতর সংকটের মধ্যে গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পরিষেবার বাইরে চলে গেছে। ইসরায়েলি হামলা ৫৭টি প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তু ও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং ৭৩ জন চিকিৎসাকর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ২৫টি অ্যাম্বুল্যান্স এখন পরিষেবার বাইরে রয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ (১২টি) এবং ৭২টি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকের প্রায় দুই তৃতীয়াংশই (৪৬টি) বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলি বিমান হামলায় ক্ষয়ক্ষতির শিকার অথবা জ্বালানির সংকটের কারণে এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ হয়ে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এ হামলা নামক ধ্বংসযজ্ঞ। ইসরায়েলিরা এখন পর্যন্ত এ বর্বর বোমা হামলা চালিয়েই যাচ্ছে।
সূত্র : আলজাজিরা, আল অ্যারাবিয়া, আনাদোলু এজেন্সি