বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে থাইল্যান্ড-সিঙ্গাপুরে, ৪০ শতাংশ কমেছে ভারতে
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে থাইল্যান্ড-সিঙ্গাপুরে। আর ৪০ শতাংশ কমেছে ভারতে। এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংশ্লিষ্টদের মতে, ভারত সীমিত সংখ্যায় ভিসা দেওয়ায় প্রতিবেশী দেশটিতে বাংলাদেশি রোগী ও পর্যটকদের সংখ্যা কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, গত অক্টোবরে ভারতে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ কমেছে। প্রায় ৯০ কোটি ২০ লাখ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৫৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মোট খরচের মধ্যে ভারতে ছিল সাড়ে ১৬ শতাংশ। চলতি বছরের একই মাসে তা ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশে নেমে এসেছে। অপরদিকে এই সময়ে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে।
বাংলাদেশে মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, ভিসা সীমাবদ্ধতার কারণে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ভ্রমণ প্রায় ৯০ শতাংশ কমেছে।
তিনি আরও বলেন, রোগীদের অবশ্যই চিকিৎসকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হচ্ছে বলে খুব কম মানুষ এখন চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছেন। তার মতে, যারা আগে কলকাতায় যেতেন এখন তারা কক্সবাজার যাচ্ছেন। আগে যারা মুম্বাই বা ভারতের অন্যান্য শহরে বেড়াতে যেতেন এখন তারা থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও নেপালে যাচ্ছেন।
গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর গত অক্টোবরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জানান, বাংলাদেশিদের জন্য পর্যটন ভিসা শিগগিরই চালু হচ্ছে না। আর ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন শুধু জরুরি প্রয়োজনে ভিসা দিচ্ছে।
ওই মাসে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক ব্রিফিংয়ে জানান, বাংলাদেশে ভারতের ভিসা কার্যক্রম সীমিত। শুধুমাত্র চিকিৎসা ও জরুরি প্রয়োজনের জন্য ভিসা দেওয়া হচ্ছে।
ফলে ভারতে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমেছে। ভারতের পরিবর্তে বাংলাদেশিরা এখন চিকিৎসা ও ভ্রমণের জন্য থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরকে বেছে নিচ্ছেন।