আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে সাকিবকে ‘বাদ’ দিল বিসিবি
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ওয়ানডে সংস্করণ থেকে এখনো অবসর নেননি সাকিব আল হাসান। আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে বাংলাদেশ একটিমাত্র ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেই তিন ওয়ানডের সিরিজেই তাকে ছাড়া দল ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবির সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচকেরা এরই মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দল বোর্ডে জমা দিয়েছেন। সাকিবকে দলে না রাখতে বোর্ডের নির্দেশনা থাকায় তাতে নেই সাকিবের নাম। কারণ হিসাবে জানা গেছে, সাকিব কিছু শর্ত দিয়েছিলেন বিসিবিকে। বিসিবি তাতে সাড়া দেয়নি, তাই সাকিবেরও খেলার সম্ভাবনা নেই ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ওয়ানডে সিরিজে। শর্তগুলো ছিল, বিসিবির মাধ্যমে সরকারের কাছে দেশের মাটিতে খেলার স্বাধীনতা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট উন্মুক্ত করে দেওয়া এবং দেশে ফেরা ও বিদেশে যাওয়ার নিশ্চয়তা।
বিসিবির নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্মকর্তা জানান, আমাদের মনে হয়েছে- নানা কারণে এ মুহূর্তে সাকিবের যে মানসিক স্থিতি, সেটি ঠিক খেলার মতো অবস্থায় নেই। ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টেন লিগ খেলা আর জাতীয় দলের হয়ে খেলা এক জিনিস নয়। সে কারণেই আমরা মনে করেছি, সাকিবের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে না খেলাটাই ভালো। নির্বাচক কমিটিকে বোর্ডের এই মনোভাবের কথা জানানো হয়েছে।
এর আগে ৬, ৯ ও ১১ নভেম্বর শারজায় অনুষ্ঠিত তিন ওয়ানডের সিরিজেও খেলেননি সাকিব। সেটা অবশ্য ছিল তার নিজের সিদ্ধান্ত। আফগানিস্তান সিরিজের দল ঘোষণার আগে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সাকিব যখন চেষ্টা করেও দেশে শেষ টেস্ট খেলতে পারল না, এর পর থেকে মনে হয় সে অনুশীলনেও খুব একটা নেই। নিজেকে প্রস্তুত করতে কিছু সময় দরকার তার। পরের সিরিজে (আফগানিস্তান) তার খেলার সম্ভাবনা কম। এটা তার মানসিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লিগ সরকারের পতনের পর হত্যা মামলায় আসামি করা হয় সাকিবকে। শেয়ার কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। এছাড়াও ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে সাকিব ও তার স্ত্রীর।