Home সারাদেশ তিন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের শত বছরের দুর্ভোগ,সাকোর বদলে ব্রিজ ও পাকা সড়কের দাবি।
নভেম্বর ২৩, ২০২৪

তিন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের শত বছরের দুর্ভোগ,সাকোর বদলে ব্রিজ ও পাকা সড়কের দাবি।

বালী তাইফুর রহমান তূর্য, নলছিটি প্রতিনিধি :
ঝালকাঠির নলছিটিতে ঝুকিপূর্ণ বাসের সাকোর বদলে পাকা ব্রিজের এবং কাচা সড়ক পাকা করার দাবি জানিয়েছেন করেছে দপদপিয়া ইউনিয়নের গোহালকাঠী,কান্ডপাশা, মালোয়ার গ্রামের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়দের মতে,উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের গোহালকাঠী গ্রামের এই পথটি মালোয়ার থেকে গোহালকাঠী হয়ে প্রায় চারটি গ্রামের মানুষের নলছিটি-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের কান্ডপাশায় ওঠার বহু পুরনো সংক্ষিপ্ত পথ।এটি ছাড়া যে বিকল্প পথ রয়েছে সেটির দূরত্ব কমপক্ষে ৪/৫ কিলোমিটার বেশি। এবং সেখানে যে মসজিদটি রয়েছে সেটিও পারিবারিক পাঞ্জেগানা মসজিদ নয়, সেখানেও জুম্মা এবং ঈদের নামজ হতো যেটি যোগাযোগ ব্যবস্থার দূর্ভোগের ফলে প্রায় পরিত্যক্ত হয়ে পরে আছে।গত ২০২২ সালের ঈদের নামাজের পরে ফেরার পথে সাকো ভেংগে অনেকেই আহত হওয়ার পর থেকে মসজিদটি ধীরে ধীরে বিরান হয়ে গেছে।এর কারন হিসেবে তারা বলেন,এই কাঠের সাকোর উপর থেকে বৃদ্ধরা সন্ধ্যার পরে মসজিদ থেকে ফিরতে পারেন না বিধায় ধীরে ধীরে মুসল্লি শূন্য হয়ে গেছে ।
এই বাসের সাকো থেকে পড়ে প্রান গেলেও ৩০ বছরেও নির্মাণ হয়নি ব্রিজ,শতবছর পুরনো এই দূর্ভোগে নাকাল তিন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।সেই দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতেই তারা বারবার জনপ্রতিনিধিদের বললেও অভিযোগ করেন তারা শুধু ভোট এলেই আশ্বাস দিয়ে যান পরে আর খোজ খবর নেন না।
স্থানীয় সুত্রমতে,গোহালকাঠী এবং মালোয়ার গ্রামের সংযোগে একটি খালের উপর অন্তত ৩০ বছর যাবত বাশের সাকো দিয়েই চলছে পারাপার।প্রতিনিয়ত ঘটছে অসংখ্য দূর্ঘটনা।কয়েক বছর আগে বাশের সাকো দিয়ে পা পিছলে পরে গিয়ে আ:শুক্কুর নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যুর পরে জোরেসোড়ে দাবি ওঠে ব্রিজ নির্মানের,কিন্তু দুটি কাঠের তক্তা দিয়ে দ্বায় সেরেছেন সবাই।সেই কাঠের সাকো দিয়ে পা পিছলে পরে পা ভেংগে ঘরে বসে এখনো ভুগছেন পিয়ারা বেগম তবু আসে নি পাকা ব্রিজ।
যদিও এই চলার পথটি কান্ডপাশা বটতলা হয়ে গোহালকাঠী থেকে মালোয়ার যাওয়ার পথের একটি শর্টকাট রাস্তা যা প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ কমিয়ে দিয়েছিলো বরিশাল শহরের সাথে।কিন্তু মাত্র ৩৫ ফুট প্রশস্থ খালের উপর একটি সেতু না থাকায় সময় বাচাতে গিয়ে অনেক সময় প্রান বাচানোই দ্বায় হয়ে যায় এলাকার হাজারো মানুষের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ সাকো দিয়েই নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা ঝুকি নিয়েই পারাপার হচ্ছেন।এসময় মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পিয়ারা বেগম এর কাছে তাদের দূর্ভোগের কথা জানতে চাইলে তিনি ক্ষোভে ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন,মানুষের জান চলে গেলেও কর্তৃপক্ষের দয়ায় এখানে একটা ব্রিজ হইলো না।আমাগো লাগে খালি ভোটের সময়,এছাড়া কেউ খবরো নেয় না।
বৃদ্ধ আ:রহিম বলেন, আমি এমনেই চলতে পারি না,বুড়া বয়সে একটু মসজিদে যাই নামাজ পরতে তাও কবে জানি সাকো দিয়া পইরা পরানডা যায়।মেম্বারগো এতো কইলাম,কেউ একটা ব্রিজ বানাইয়া দিলো না।
পথটি দিয়ে প্রতিদিন শংকরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে যাওয়া রূমানা আক্তারেরও বক্তব্য ছিলো অভিমান আর অভিযোগে ভরা,বর্ষা এলেই এই ভয়ংকর সাকো দিয়েই স্কুলে যেতে গিয়ে অনেকবার পা পিছলে পরে গেছে সেও,বই ভিজে গেছে বহুবার।এখন তারও একটাই দাবি এই খালের উপর একটা ব্রিজ চাই।
খালের তীরে বহু আগে একজন মেম্বার ভোটের সময় ব্রিজের নাম করে ভোট পেতে কিছু লোহার পাতি রেখে গেলেও তা আর ব্রিজে রূপ নেয়নি।তাই এলাকাবাসীর একমাত্র দাবি আগামী বর্ষার আগেই এই খালের উপর একটি ব্রিজ নির্মান এবং সড়কটির পাকাকরণ।
মুঠোফোনে কল দিলেও না পাওয়ায় দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো নজরুল ইসলাম বলেন,বিষয়টি আমার জানা ছিলো না।খোজ নিয়ে দ্রুতই দূর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা গ্রহনের চেষ্টা করব।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *