Home দেশ-বিদেশের যু্দ্ধ ইরানের হুমকি: ট্রাম্পকে নেতানিয়াহুর নালিশ
নভেম্বর ৭, ২০২৪

ইরানের হুমকি: ট্রাম্পকে নেতানিয়াহুর নালিশ

দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করে অভিনন্দন জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ সময় নেতানিয়াহু মধ্যপ্রচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। তাদের আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু ছিল ইরানের ইসরায়েলে হামলার হুমকি।

এই মুহুর্তে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস, লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ, ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধা ও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলে। এর মধ্যেই ইরান বড় ধরনের আরেকটি হামলার হুমকি দিয়ে রেখেছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

স্থানীয় সময় বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনালাপ হয়। এ সময় তারা ইরান ও তার প্রক্সি যোদ্ধা হিজবুল্লাহ এবং হামাসের হুমকি নিয়েও আলোচনা করেন।

নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করার জন্য কাজ করার অনুরোধ করেন।

সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

নেতানিয়াহু পরে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, তারা ইরানি হুমকির ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। ইরান হিজবুল্লাহ ও হামাসকে সমর্থন দিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে।

ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যেকোনো পর্যায়ের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।

হিজবুল্লাহর নেতা নায়িম কাসেম এক বক্তব্যে বলেছেন, আমাদের কাছে হাজার হাজার প্রশিক্ষিত যোদ্ধা আছে। যারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল আমাদের যুদ্ধের পরিকল্পনায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। তাদের দাবি, যুদ্ধে তারা ইরান নির্মিত ১১০টি ফাতাহ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে যা ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে।

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীও পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি তারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বেকা উপত্যকা এবং নাগবাতিয়া শহরে বিমান হামলা করেছে।

লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।

গাজার পরিস্থিতি এখন চরম উত্তপ্ত। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে।

ইসরায়েলের প্রতিশোধে গাজার হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। গাজার ৬০ বছর বয়সী এক বাসিন্দা মমদুহ আল-জাদবা বলেন, আমরা আর বাঁচতে পারছি না…শান্তি চাই। আমি আশা করি ট্রাম্প আমাদের জন্য কিছু সমাধান নিয়ে আসবেন।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *