Home খেলা ১৬ উইকেটের প্রথমদিনে তাইজুলের ‘পাঁচ’
Oktober ২২, ২০২৪

১৬ উইকেটের প্রথমদিনে তাইজুলের ‘পাঁচ’

মিরপুরে শেষবার টেস্ট ক্রিকেটের আসর বসেছিল গত বছর ৬-৯ ডিসেম্বর। সেই টেস্টে নিউজিল্যান্ড জিতেছিল চার উইকেটে। ৩২০ দিন পর ‘হোম অব ক্রিকেটে’ টেস্ট ফিরল উইকেট-বৃষ্টির মধ্য দিয়ে। ব্যাটারদের বধ্যভূমিতে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্টের প্রথমদিন উইকেট পড়েছে ১৬টি। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় ১০৬ রানে, মাত্র ৪০.১ ওভারে। স্বাগতিকদের ইনিংসে কেউ যদি সাদা বলের ক্রিকেটের ছায়া দেখতে পান, তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসেও চোখ বুলিয়ে নিন। তারাও ব্যাট করেছে ৪০ ওভার। ১৪০ রানে ছয় উইকেট হারানোয় প্রোটিয়ারাও স্বস্তিতে নেই। মাত্র ৩৪ রানের লিড।

প্রথমদিন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ৪৯ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব আল হাসানের (২৪৬ উইকেট) পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসাবে টেস্টে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। দিনশেষে ৮৫ ইনিংসে তার উইকেট হলো ২০১টি। ওপেনার টনি ডি জর্জি (৩০), ট্রিস্টান স্টাবস (২৩) ও রায়ান রিকেলটন (২৭) ছাড়া আর কারও রানে কারও চোখ পড়বে না। কাইল ভেরেইনে ও উইয়ান মুল্ডার আজ দ্বিতীয়দিন শুরু করবেন যথাক্রমে ১৮ ও ১৭ রান নিয়ে। তিন প্রোটিয়া বোলার কাগিসো রাবাদা (৩/২৬), উইয়ান মুল্ডার (৩/২২) ও কেশব মহারাজ (৩/৩৪) মিলে নয় উইকেট নেন। সকালের সেশনে দুই উইকেট নিয়ে টেস্টে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন পেসার রাবাদা। সবচেয়ে কম বল (১১, ৮৭১) খরচ করে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি।

উইকেট বুঝতে ভুল হয়নি, অক্ষমতার প্রতিফলন ব্যাটিংয়ে। চেনা পিচে টস জয়ের সুবিধার পর স্পিন সহায়ক উইকেটে সকালে রাবাদা-মুল্ডারদের পেসে বাংলাদেশ পর্যুদস্ত হলো। পছন্দের উইকেট বানিয়ে ইচ্ছামতো আউট হওয়ার প্রতিযোগিতা দেখ গেল প্রথম ইনিংসে। সাকিববিহীন বাংলাদেশ অলআউট ১০৬ রানে। প্রিয় ভেন্যুতে এরচেয়ে কম রানে একবারই অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।

এটি হতে পারত সাকিব আল হাসানের বিদায়ি টেস্ট। নিরাপত্তা ইস্যুতে খেলা হলো না তার। গত কয়েকদিন সাকিবের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল-বিক্ষোভ হয়েছে। ম্যাচ শুরুর দিন স্টেডিয়ামের আশপাশে সাকিবকে নিয়ে কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিনা টিকিটে ছাত্রছাত্রীদের খেলা দেখতে না দেওয়ার প্রতিবাদ হয়েছে।

প্রথমদিনের খেলা শেষেও তাইজুলের সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বড় জায়গা পেলেন। বাঁ-হাতি স্পিনে এখনো টেস্ট দলে মুক্ত পাখির মতো তাইজুল। দুর্দান্ত ঘূর্ণিতে সাকিবের অভাব টের পেতে দেননি ৩২ বছর বয়সি এই স্পিনার। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ২০০ উইকেট থেকে মাত্র চার কদম দূরে ছিলেন তিনি। আইডেন মার্করামকে পেসার হাসান মাহমুদ ফেরানোর পর বাকি কাজটা করতে হয়েছে তাইজুলকে। বোল্ড করেন ব্রিটজকে। তাইজুলের করা বলটা ছাড়তে গিয়ে অফ-স্ট্যাম্প খুইয়ে বসেন তিনি। তাইজুল পেয়ে যান টেস্ট ক্যারিয়ারের দুশতম উইকেট। এই মাইলফলক স্পর্শ করতে তার লেগেছে মাত্র ৪৮ ম্যাচ। সাকিবের দুশ উইকেট ছুঁতে লেগেছিল ৫৪ ম্যাচ। ফিরিয়েছেন রায়ান রিকেলটনকেও। তাতে ১৩তম বার পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেলেন। মিরপুরের রাজা এখন তাইজুল। এই ভেন্যুতে সাকিবের ৭৬ উইকেট ছাড়িয়ে তাইজুলের উইকেট ৭৯টি।

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার থেকেই উইকেট পতন শুরু। মুল্ডারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাদমান ইসলাম। প্রথম ইনিংসের টানা তিন ওভারে তিন উইকেট নেন এই পেসার। মাহমুদুল হাসান ও মুশফিকুর রহিম উইকেটে টিকে থাকার চেষ্টা করে পারেননি। রাবাদার সঙ্গে যোগ দেন কেশব মহারাজ। মুশফিকুর রহিমকে বোল্ড করে ক্যারিয়ারের তিনশতম উইকেট পেয়ে যান রাবাদা। সবচেয়ে কম বল করে দ্রুততম তিনশ টেস্ট উইকেট নেওয়ার মালিক এখন তিনি। শেষ দিকে তাইজুল লড়াই করেও রানের চাকা বেশিদূর নিতে পারেননি। ৩১ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেছেন তিনি। ৯৭ বল খেলা মাহমুদুল হাসান করেন সর্বোচ্চ ৩০ রান। (স্কোর কার্ড খেলার পাতায়)

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *