Home জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসি শিক্ষার্থীদের ৬ দাবি
Oktober ১৯, ২০২৪

মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসি শিক্ষার্থীদের ৬ দাবি

স্বতন্ত্র পরিদপ্তর গঠন ও ডিপ্লোমাধারীদের দশম গ্রেড (দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড) পদমর্যাদা প্রদানসহ ছয় দাবি জানিয়েছেন মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসির শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী টেকনোলজিস্টদের পদায়ন করার আহ্বান জানান তারা।

শনিবার মহাখালীর সরকারি ‘ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি’ (আইএইচটি) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসি সংগ্রাম পরিষদ।

এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী একজন চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্স ও পাঁচজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকতে হয়। দীর্ঘ ১৪ বছরেরও অধিক সময় প্রশাসনিক জটিলতায় মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রয়েরেছ। সরকারি চাকরিতে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সংখ্যা মাত্র ৪ হাজার ১০৬ জন এবং মোট পদের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৭৫টি।

তিনি বলেন, চিকিৎসক ও নার্সের বিদ্যমান সংখ্যার অনুপাত যেটি হওয়ার কথা ছিল ৮০ হাজারেরও বেশি। নিয়োগ জটিলতা শেষ হয়ে ২০২৩ সালের ১ আগস্ট নতুন সৃষ্ট পদে ৮৮৯ জনকে নিয়োগ দেয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ থাকায় একটি বৃহৎ অংশের সরকারি চাকরিতে আবেদন বয়সসীমা পার হয়ে গেছে। নিজস্ব কোনো দপ্তর না থাকায় দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা বেকার জনগোষ্ঠী একপ্রকার হতাশাগ্রস্ত জীবনযাপন করছে।

এই খাতে বৈষম্য তুলে ধরে তিনি বলেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পেশাজীবীদের পেশাগত লক্ষ্য বাস্তবায়ন, বদলি, পদোন্নতি, উচ্চ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধি, সমন্বয়ের জন্য কোনো স্বতন্ত্র উইং কিংবা অধিদপ্তর নেই। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত সরকারি পর্যায়ে ২৩টি এবং বেসরকারি পর্যায়ে ৬৫টিরও অধিক আইএইচটি রয়েছে। যেখানে আটটি অনুষদে ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসি পাস ডিগ্রিধারীদের চাকরি সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়য়াদি, তাদের বদলি-পদোন্নতিসংক্রান্ত বিষয় দেখভালের জন্য স্বতন্ত্র কোনো ব্যবস্থা নেই। মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসি সেক্টরে পাস করা ৫০ হাজাররেও বেশি জনবলের পরিকল্পনামাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো দপ্তরের ব্যবস্থা নেই।

দশম গ্রেডের দাবি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১০ম গ্রেডের মানে উন্নয়নের জন্য আমাদের ডিপ্লোমা চার বছর মেয়াদি করা হয়েছে। এই টেকনোলজিস্টদের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আসা বাধ্যতামূলক ও আমাদের বায়োলজি ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ৬ দাবি তুলে ধরেন সদস্য সচিব জীবন ইসলাম। দফাগুলো হলো- স্বতন্ত্র পরিদপ্তর গঠন করতে হবে। ডিপ্লোমাধারীদের দশম গ্রেড (দ্বিতীয় শ্রেনীর গেজেটেড) পদমর্যাদা প্রদান করে ডব্লিউএইচও-এর আনুপাতিক হারে পদ সৃষ্টি করে দ্রুত নিয়োগদানের পাশাপাশি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২০১৩ সালের স্থগিতকৃত নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের নবম গ্রেডের পদসৃষ্টি পূর্বক চাকরিজীবীদের আনুপাতিক হারে পদোন্নতির নিয়ম বহাল রেখে স্ট্যান্ডার্ড সেট আপ নিয়োগবিধি এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

ঢাকা আইএইচটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করে একটা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব আইএইচটিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট শিক্ষকদের স্বতন্ত্র ক্যারিয়ার প্ল্যান গঠন করে বিদ্যমান নিয়োগবিধি ও অসংগতিপূর্ণ গ্রেড সংশোধন করতে হবে। মেডিকেল টেকনোলজি কাউন্সিল ও ডিপ্লোমা মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড গঠন এবং প্রাইভেট সার্ভিস নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। বি ফার্মসহ সব অনুষদের বিএসসি ও এমএসসি কোর্স চালু করা এবং স্কলারশিপসহ প্রশিক্ষণ ভাতা চালু করতে হবে।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *