বিয়ে করতে যাওয়ার আগে ঢাকায় রুমমেটের বিয়েতে হাজির হন হাসনাত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচিত সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ সম্প্রতি কুমিল্লায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তার বিবাহত্তোর সংবর্ধনা ও মধ্যাহ্নভোজের ছবি গণমাধ্যমের বিভিন্ন খবরে পাওয়া গেছে। কিন্তু শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়ার বিয়েতে হাসনাত আব্দুল্লাহর উপস্থিতি কিছুটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছিল।
হাসনাতের বিয়ের খবরটি সম্প্রতি তার সহচরদের মধ্যে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। শুক্রবার কুমিল্লার গ্রামের বাড়িতে ঘরোয়া পরিবেশে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। যদিও হাসনাত নিজে বিষয়টি স্পষ্ট না করায় কিছুটা রহস্য তৈরি হয়েছিল। কিন্তু হাসনাতের শুভাকাঙ্ক্ষী ও সতীর্থরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেন। ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করে একটি গাণমাধ্যমকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছেন।
শুরুর দিকে হাসনাত নিজেই বিয়ের বিষয়টিকে ‘গুজব’ বলে রসিকতা করেছিলেন। তবে তার অনেক বন্ধু ও সহকর্মী ফেসবুকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান মাসুদ লিখেছেন, “বিয়ে মানুষকে নত করে… নতুন জীবনের শুভেচ্ছা ভাই।”
অ্যাক্টিভিস্ট আব্দুল্লাহ হিল বাকী, সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, আবদুল কাদেরসহ অনেকের পোস্টে হাসনাতের বিয়ের বিষয়টি উঠে এসেছে। বাকী লিখেছেন, “অভিনন্দন ও শুভকামনা হাসনাত আব্দুল্লাহ, আল্লাহ দুজনকে বারাকাহ দান করুক।”
এদিকে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়ার বিয়েতে হাসনাতের উপস্থিতি কিছুটা ধোঁয়াশা তৈরি করেছিল। কারণ, একই দিন ঢাকায় জাকারিয়ার বিয়েতে যোগ দেওয়ার পর হাসনাত কুমিল্লায় গিয়ে নিজে বিয়ে করেন।
জাকারিয়া তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন, “জীবনে আমার সাথে ঘটে যাওয়া কাকতালীয় বিষয়গুলোর অন্যতম হলো হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাই ও আমার বিয়ে একই দিনে হওয়া। নিজের বিয়ের ব্যস্ততা ফেলে রুমমেট ছোট ভাইয়ের বিয়েতে অংশগ্রহণ করার জন্য হাসনাত ভাইকে অভিনন্দন।”
হাসনাতের স্ত্রীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে, তবে বর্ষ, হল ও বিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তার বন্ধু ও সহকর্মীরা। হাসনাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি স্কুল অব এক্সিলেন্স নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত আছেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে নেতৃত্ব পর্যায়ে ছিলেন।
অতীতের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে এবং চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়া আনসারদের সরিয়ে দিতে শিক্ষার্থীদের মার্চে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় তাকে। বিভিন্ন ইস্যুতে মতামত দিয়ে ও কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তিনি আলোচনায় রয়েছেন।