নলছিটির খোজাখালি-পুলেরহাট মরনফাদ সড়কের সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন।
বালী তাইফুর রহমান তূর্য,নলছিটি প্রতিনিধি :
ঝালকাঠির নলছিটিতে সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।আজ রবিবার ১৩ অক্টোবর সকালে নলছিটি দপদপিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের খোজাখালি এলাকায় সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
নলছিটি পৌরসভার খোজাখালি থেকে সুর্যপাশা হয়ে শংকরপাশা পুলেরহাট এবং পুলেরহাট থেকে শংকরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় হয়ে কাঠেরপোল পর্যন্ত সড়কের দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সেটি এখন মরনফাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।দীর্ঘদিন সংস্কার কাজ না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী এ মানববন্ধন আয়োজন করে।এতে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ব্যবসায়ী জামাল মোল্লা,নাইম হোসেন, রাকিব মোল্লা,মো:রোকন,মো:রাসেল,ব্যবসা য়ী আকাশ তালুকদার,দুর্ঘটনায় আহত ফারুক হাওলাদার,স্থানীয় সমাজকর্মী বালী তাইফুর রহমান তূর্য সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।এ সময় তারা বলেন দীর্ঘদিন যাবত সূর্যপাসা গ্রামটি চরম অবহেলিত। যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি সড়ক চলাচলের যোগ্য নেই। যার ফলে বৃদ্ধ গর্ভবতী নারীদের অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেয়ারও সুযোগ থাকে না। ঘরে বসে মৃত্যুর প্রহর গোনা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। অথচ সড়কটি সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হলেও কাজ শুরু করে তা ফেলে রাখা হয়।জানা যায় সড়কটির কাজ সম্পূর্ণ না করেই বিল উত্তোলন পড়ে নেয়া হয়েছে। এবং কাজ শুরু করে লাপাত্তা হয়ে গেছেন মূল ঠিকাদার।এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী।প্রায়ই খানাখন্দের কারণে গাড়ি উলটে ঘটছে দুর্ঘটনা।এতে প্রায়ই আহত হচ্ছেন অনেকে।গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষে ফারুক হাওলাদার নামের স্থানীয় এক দিন মজুর রাস্তায় গাড়ি থেকে ছিটকে পরে হাত ভেঙে যায়।এর আগেও বেশ কয়েকজন প্রসূতি নারীকে হাসপাতালে নেয়ার পথে রাস্তার ঝাকুনিতে পথেই সন্তান প্রসব করেন।এতে মা এবং সন্তান দুজনেরই মৃত্যু ঝুকি বেড়ে যায়।তারা দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন।বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসেন অভিযোগ করেন আগস্টে তার স্ত্রীর সন্তান প্রসবের ব্যাথা উঠলে একটি এম্বুলেন্স পর্যন্ত রাস্তার দুর্দশার তারা বাড়ি পর্যন্ত নিতে পারেন নি।যেকারণে বাধ্য হয়ে ভ্যানগাড়িতে করে রোগীকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।প্রবাসী রিয়াজ হোসেন অভিযোগ করেন,তার স্ত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরার খবরে তিনি কাতার থেকে বাংলাদেশে চলে আসলেও স্ত্রীর জন্য বাড়ি পর্যন্ত একটি এম্বুলেন্স তিনিও নিতে পারেন নি।রাস্তার দুর্দশা বর্ননা করতে গিয়ে ক্ষোভে ফেটে পরেন বক্তারা।
এসময় ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়ে স্থানীয় সমাজকর্মী বালী তূর্য তার বক্তব্যে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।তিনি বলেন মানুষের অর্থ লুটপাট করে আরান আয়েস আর বিলাসিতা মানুষ মেনে নেবে না। এই এলাকার মানুষের কান্না আল্লাহর দরবারে পৌছে যাচ্ছে।জালিম হিসেবে তার কঠোর শাস্তি হবেই হবে।মানুষের জীবন নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করাকে এলাকাবাসী মেনে নেবে না।দ্রুত কাজ সম্পন্ন না করা হলে এরপরে তারা আরো কঠোর আন্দোলনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।তারা আরও বলেন দুনিয়ার আদালতে বিচার পাই না,তাই এবার সবাই মিলে এই জালিমদের বিরুদ্ধে আল্লাহর দরবারে সকলে মিলে বিচার দেব।তারা আমাদের জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে।জনগণের জন্য আসা বরাদ্দ লুটপাট করে তারা আমোদ ফুর্তি করে বেরাচ্ছেন।
ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।