Home খেলা ‘খেলোয়াড় হিসেবে অবশ্যই এটা হতাশাজনক বিষয়’
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪

‘খেলোয়াড় হিসেবে অবশ্যই এটা হতাশাজনক বিষয়’

ভারত সফরে শান্তদের দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে কোনো রকম লড়াই না করেই হেরেছিল বাংলাদেশ। পরে লক্ষ্য ছিল সিরিজের শেষ ম্যাচে কানপুরের গ্রিন ফিল্ড স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর। তবে এই ম্যাচে দুই দলের মধ্যে তৃতীয় প্রতিপক্ষ হিসেবে লড়েছে বৃষ্টি।

এতে করে বৃষ্টির বাগড়ায় প্রথম দিনে ঘণ্টা তিনেক খেলা হলেও দ্বিতীয় দিনে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। যা হতাশাজনক বলেছেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। গতকাল শনিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা দুপরে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ম্যাচ অফিসিয়ালসরা।

পরে এ বিষয়ে হোটেলে বিসিবির এক ভিডিও বার্তায় শান্ত বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে অবশ্যই এটা হতাশাজনক বিষয়। কারণ অনেক কষ্ট করেই প্রথম দিন এই খেলাটা শুরু হয়েছিল পরে আবার খেলাটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, আজকে (শনিবার) সারা দিনই খেলা হয়নি। সব কিছু মিলিয়ে এটা হতাশাজনক। কিন্তু এখানে কারোর কিছু করারও নেই বা নিয়ন্ত্রণেও নেই। তবে খেলা হলে ভালো লাগতো।’

কানপুর টেস্টে প্রথম দিনে মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ হারিয়েছে তিন উইকেট। রান তুলেছে ১০৭ রান। তার মধ্যে মুমিনুল হকেরই ৪০ রান। এ ইনিংস নিয়ে শান্ত মনে করেন একটি বেশি উইকেট হারিয়েছেন তারা তবে ম্যাচে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানেই রয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের একটা উইকেট বেশি পড়েছে। ব্যাটিংয়ে যে অবস্থানে আছি শুরুটাও ভালো হয়েছিল। তবে আমি বলব না যে খুব খারাপ অবস্থানে আছি। এখনো আমাদের অনেক ব্যাটার আছে এই অবস্থা থেকে যদি দুইটা বড় জুটি হয় তাহলে বড় অবস্থানেই যেতে পারব। কিন্তু এই মুহূর্তে যদি খেলার অবস্থান দেখি, তাহলে আমি বলব আমরা মাঝামাঝি একটা জায়গায় আছি।’

এদিকে ভারতের প্রাচীন স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে একটি কানপুরের এই স্টেডিয়াম। বয়স প্রায় ৮০ বছর। তবে স্টেডিয়ামটি বাংলাদেশের কাছে একদমই নতুন। কেননা প্রাচীন মাঠে এবারই প্রথম বারের মতো খেলতে নেমেছে সফরকারীরা। তাই স্বাগতিকদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর এই ম্যাচটি বেশ চ্যালেঞ্জিং। তার উপরে বৃষ্টি। ফলে ম্যাচের সামনে উইকেট কেমন আচরণ করতে পারে তা এখনই বুঝতে পারছেন না শান্তরা।

অধিনায়ক বলেন, ‘উইকেট ভালোই ছিল। এখানে চ্যালেঞ্জ যেটা বেশি সেটা হলো, অন অ্যান্ড অফ খেলা হচ্ছে। যে কোনো সময় বৃষ্টির একটা বাধা থাকেই। এটা মাথায় নিয়ে ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করছে, যেটা একটা কঠিন ব্যাপার। তা ছাড়া আমি বলব উইকেট ভালোই ছিল। সামনে হয়তো ডে থ্রি, ডে ফোর যেহেতু বৃষ্টি, রোদও পাচ্ছেনা। সেক্ষেত্রে সামনে খেলাটা এগোলে বোঝা যাবে উইকেট কতোটা চ্যালেঞ্জিং হবে।’

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *