ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালানো এপিবিএন সদস্য গ্রেফতার
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানোর অভিযোগে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গ্রেফতার মো. সুজন হোসেন ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছেন এমন দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার এপিবিএন-১৩ উত্তরা পূর্বের এই কনস্টেবলকে এপিবিএনের পক্ষ থেকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি পুলিশ তাকে শাহবাগ থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে থানায় হস্তান্তর করে। শনিবার তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখারপুল এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। ওইদিন শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরও ওই এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে মারা যান বেশ কয়েকজন। এ সময় তৎকালীন রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার আখতার হোসেনকে পাশে দাঁড়িয়ে থেকে নির্দেশ দিতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই এলাকায় আন্দোলন করা ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। কেউ শুয়ে, কেউ হাঁটু গেড়ে বসে গুলি ছুঁড়ছিলেন। এর মধ্যে একটি ফুটেজে এপিবিএন-১৩ এর সদস্য কনস্টেবল সুজন রয়েছেন। ফুটেজ বিশ্লেষণ করেই সুজনকে শনাক্ত করা হয়।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) সারোয়ার জাহান বলেন, ৫ আগস্ট লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখারপুল এলাকায় গুলি চালানোর চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রচারের পর অভিযুক্ত এপিবিএন সদস্য সুজনকে শনাক্ত করে ডিবি পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর সরকারি বাহিনীতে কর্মরত কাউকে গ্রেফতার করতে গেলে যে প্রাতিষ্ঠানিক অনুমতি নিতে হয়, সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক মাইনুল ইসলাম খান পুলক। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট গুলিতে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সুজন অভিযুক্ত। তাকে প্রথমে ডিবি পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ডিবি পুলিশ শাহবাগ থানার ৯নং হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে থানায় হস্তান্তর করে। এরপর তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।