Home অপরাধ নটর ডেম কলেজের অফিস সহকারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪

নটর ডেম কলেজের অফিস সহকারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

রাজধানীর পুরান ঢাকার ধোলাইখালের ঋষিকেশ দাস লেনের একটি বাসা থেকে এক নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকেলে লিপিকা জুলিয়ানা গোমেজ (৫৫) নামের এই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি রাজধানীর নটর ডেম কলেজের অফিস সহকারী ছিলেন।

পুলিশ বলছে, লিপিকার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে হত্যাকারী পালিয়ে গেছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, ঋষিকেশ দাস লেনের একটি পাঁচতলা বাড়ির চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে একা ভাড়া থাকতেন লিপিকা। ২০ বছর আগে মাহবুবুল আলম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। পরে দুজনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। লিপিকার কোনো সন্তানসন্ততি নেই। লিপিকার বাড়ি ঢাকা জেলার দোহার উপজেলায়। সেখানে তাঁর বৃদ্ধা মা থাকেন। তাঁর একমাত্র ভাই থাকেন বিদেশে।

সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বিকেলে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন আসে। ফোন পেয়ে সূত্রাপুর থানার পুলিশ বাড়িটিতে যায়। ফ্ল্যাটের একটি কক্ষের খাটের ওপর লিপিকার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। তাঁর মাথার বাঁ পাশে ধারালো অস্ত্রের কোপের আঘাত দেখা যায়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে।

ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার লিপিকা তাঁর কর্মস্থল নটর ডেম কলেজে যাননি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ যোগাযোগ করে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পান। গতকাল অধ্যক্ষ তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী জনি চার্লস গোমেজকে লিপিকার খোঁজ নিতে ভাড়া বাসায় পাঠান। জনি সেখানে গিয়ে বাড়ির তত্ত্বাবধায়ককে সঙ্গে নিয়ে ফ্ল্যাটে যান। ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। তত্ত্বাবধায়কের কাছে থাকা বিকল্প চাবি দিয়ে তালা খুলে ফ্ল্যাটে ঢোকেন তাঁরা। এ সময় তাঁরা দেখতে পান, লিপিকা খাটের ওপর পড়ে আছেন। তাঁর মুখমণ্ডল ও কপালের ওপর বালিশ চাপা দেওয়া। তাঁরা বালিশটি সরিয়ে দেখতে পান, লিপিকার মাথা রক্তাক্ত। মাথার বাঁ পাশে কোপের চিহ্ন। তাঁরা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। ৯৯৯ থেকে বিষয়টি সূত্রাপুর থানাকে জানানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লিপিকার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে।

সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, লিপিকা যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়িতে কোনো নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন না। প্রত্যেক ভাড়াটের কাছে ভবনে ঢোকার প্রধান ফটকের তালার চাবি আছে। যে যাঁর মতো ঢুকে তালা মেরে যেতেন। ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার লিপিকার পরিচিত কেউ তাঁর সঙ্গে বাসায় আসেন। তিনি তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে চলে যান। লিপিকার মাকে খবর দেওয়া হয়েছে। তিনি থানায় এলে মামলা গ্রহণ করা হবে।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *