শেখ হাসিনার সঙ্গে হত্যা মামলার আসামি দিলীপ ও দোলন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ধানমন্ডি এলাকায় শুভ নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান দোলনসহ ১৩৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে ভিকটিমের মা রেনু মামলাটি করেন। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক এমপি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু, সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন, অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল, নূর আলম সিদ্দিকীর ছেলে তাহজীব আলম সিদ্দিকী, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান দোলন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই ধানমন্ডি থানাধীন ৩ নম্বর রোডে গুলিবিদ্ধ হন শুভ। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এইচএসসি পরীক্ষার্থী হত্যা চেষ্টা মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অক্সফোর্ডিয়াং ল্যাবরেটরি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী আসফিক ইবনে আরমান ইসাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমির আদালতে ইসার বাবা আবুযর মো. আরমান আলী জুয়েল মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবের হোসেন চৌধুরী, আইজিপি চোধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদ, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই রামপুরা থানাধীন বনশ্রী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ইসা।