হিলিতে আবারও বেড়েছে ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের দাম
জুবায়ের হোসাইন, হিলি:
আজ সকালে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫টাকা। গত সোমবার (১৯ আগস্ট) প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আজ ২৬ আগস্ট (সোমবার) সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা কেজি দরে। এই দাম বেড়ে যাওয়ার খবরে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, পেঁয়াজ একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য তাই বর্তমান সরকার যেভাবে অন্যান্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করছে, সেভাবে পেঁয়াজের বাজারও দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
হিলিবাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা সুকুমার বলেন, “আমার একটি খাবারের হোটেল রয়েছে তাই সপ্তাহে কয়েকবার পেঁয়াজ কিনতে হয়। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮৫ টাকা দরে কিনি। আর আজ সোমবার কিনলাম ১০০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে”।
সুকুমার আরও বলেন, “পেঁয়াজ প্রতিটি মানুষকেই কমবেশি কিনতে হয়। তাই আমি মনে করি বর্তমান সরকারের উচিত অন্যান্য পণ্যের মতো পেঁয়াজেরও দাম বেঁধে দেওয়া এতে করে আমাদের মতো সীমিত আয়ের লোকদের সুবিধা হবে”।
আরেক ক্রেতা মো. সাগর হোসেন বলেন, “পেঁয়াজের দর কখনো বাড়ে কখনো কমে, এই ওঠে এই নামে। কখনো ১০০ টাকা, কখনো ১৫০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেই ছিল ৮৫ টাকা কেজি। আজ আবার পেঁয়াজ কিনতে এসে দেখি ১০০ টাকা কেজি”।
অন্যদিকে, বিক্রেতাদের দাবি যে, তারা খুব সীমিত লাভে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. ফেরদৌস রহমান ‘ভয়েস অব বাংলাদেশ’কে বলেন, “তারা নিজেরা পেঁয়াজ আমদানি করেন না বরং আমদানিকারকদের কাছ থেকে পাইকারি কিনে খুচরা বিক্রি করেন। বন্দর থেকে যে দামে পেঁয়াজ কেনেন, তার চেয়ে কেজিতে মাত্র ৩ থেকে ৫ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করে থাকেন। আমদানির তুলনায় চাহিদা বেশী থাকায় এই দাম বৃদ্ধি”।
ফেরদৌস রহমান আরও বলেন, “গেলো সোমবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ বন্দর থেকে ৮০ থেকে ৮২ টাকা দরে কিনে ৮৫ টাকায় বিক্রি করেছি। আর আজ সোমবার বন্দর থেকে ৯৫ থেকে ৯৭ টাকা কেজি দরে কিনে ১০০ টাকায় বিক্রি করছি। এরমধ্যে শ্রমিকের মজুরিসহ পরিবহণ খরচও আছে”।
হিলি কাস্টমসের সর্বশেষ তথ্যমতে, “গত সপ্তাহে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ৪৮ ট্রাকে ১ হাজার ৩৮৯ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে”।