Home সারাদেশ রাস্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে গনতান্ত্রিক,অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক রাস্ট্র বিনির্মানের দাবিতে মানববন্ধন।
রাস্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে গনতান্ত্রিক,অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক রাস্ট্র বিনির্মানের দাবিতে মানববন্ধন।
বালী তাইফুর রহমান তূর্য, নলছিটি (ঝালকাঠি):
ঝালকাঠির নলছিটিতে শনিবার ২৪ আগস্ট সকাল ১১ টায় নগরীর বাস স্ট্যান্ডে শহীদ সেলিম তালুকদার স্মৃতি চত্তরে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক রাস্ট্র মেরামতের মাধ্যমে একটি গনতান্ত্রিক,অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক রাস্ট্র বিনির্মানের দাবিতে এক মানব বন্ধনের আয়োজন করেন।এতে ছাত্র,শিক্ষক,সাংবাদিক, নারী নেত্রী এবং সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক আয়োজিত রাস্ট্র সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি গনতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক রাস্ট্র বিনির্মানের দাবিতে এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নলছিটি উপজেলার সুজন সভাপতি খলিলুর রহমান মৃধা,নলছিটি সুজন সম্পাদক আমির হোসেন,প্রবীন শিক্ষক একরামুল করিম মিঠু মিয়া,সমাজকর্মী ও সুজনের পৌরসভার সমন্বয়ক বালী তাইফুর রহমান তূর্য, নারী নেত্রী সোনিয়া আক্তার আরজু,রাজনৈতিক দল এনপিপি নেতা ফোরকান হাওলাদার,নলছিটির রেডক্রিসেন্ট সেচ্ছাসেবী ইমরান হোসাইন,রাকিব হোসাইন সহ সাধারণ নাগরিকবৃন্দ।
এসময় বক্তারা দেশে চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্ত কূটনীতিক সমাধানের তাগিদ দেন।তারা অভিযোগ করে বলেন দেশে দীর্ঘদিন গনতন্ত্র না থাকায় দেশ কুটনৈতিকভাবেও দুর্বল হয়ে পরেছে দিনে দিনে।যারফলে ভারত সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা নিলেও বাংলাদেশকে সব সময় বিভিন্নভাবে কোনঠাসা করে রেখে আসছে।এজন্য কূটনৈতিক শক্তি বাড়াতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে পরামর্শ দেন।এছাড়াও রাস্ট্র এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক গনতন্ত্র চর্চা নিশ্চিতকরনের তাগিদ দেন।কেননা দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদেরই গনতান্ত্রিক চর্চা নেই,তাদের বিভিন্ন সংগঠনের কমিটিও গনতান্ত্রিক উপায়ে করেন না।কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ করে গনতান্ত্রিক উপায়ে ছাত্র সংসদ গঠনের চর্চাও চালু করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তার।এছাড়া অনেক সময় একই ব্যক্তি দশ বা পনেরো বছরেও একই পদে আসীন থাকেন যার দ্বারা প্রমান হয় দলগুলোর নিজেদেরই গনতান্ত্রিক চর্চা নেই। তাদের সাংগঠনিকভাবে গনতন্ত্র চর্চার অভ্যাস গড়া উচিৎ বলেও তারা মন্তব্য করেন। এছাড়াও মিথ্যা সাম্প্রদায়িক অসৌহার্দ্য দেখিয়ে রাজনৈতিক কুচক্রী মহলের ফয়দা লোটার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার জন্য নাগরিকদের আহবান জানান।আওয়ামী সরকার পতনের পরে একটি কুচক্রী মহল উঠেপড়ে লেগেছিলো মন্দির ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে সাম্প্রদায়িক দাংগা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।অথচ তারা এগুলো বাস্তবে প্রমান করতে পারেন নি।বাংলাদেশ সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির স্থাপন করে এসেছে,ভবিষ্যতেও থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
এছাড়াও এদেশের ছাত্র,জনতা সব সময়ই মানবিকতা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে।সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিতে সহ সার্বিক বিপর্যয়ের সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে ববন্যার্তদের পাশে দাড়াতে ও মানবিক রাস্ট্র বিনির্মানে নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।এবং রাস্ট্রের ভেঙে পরা কাঠামো সংস্কারে নাগরিকদের ধৈর্য্য ধরে সময় দিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থন ও আস্থা রাখতে সকলকে আহবান জানান।