হাকিমপুরের হোটেলে খাবারের পরিমাণ কমে, গ্রাহক ক্ষুব্ধ
জুবায়ের হোসাইন, হিলি(দিনাজপুর):
”দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ‘তিন ভাই মা হোটেল’ এর প্রোপাইটর আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। হোটেলটি তাদের খাবারের পরিমাণ ও মান কমিয়ে দিয়েছে এবং স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুরুতে ১১০ টাকায় নির্দিষ্ট পরিমাণ এর দুই প্লেট ভাত, তিন ধরনের ভর্তা, চার থেকে পাঁচ পিস মাংস এবং গ্রাহকের চাহিদামতো ডাল দেওয়া হলেও বর্তমানে একই দামে ভাতের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ভর্তার ধরনও কমে গিয়েছে। এছাড়া, মাংসের পরিমাণও কমেছে।”
“একইভাবে, ৩০ টাকায় দেওয়া খিচুড়ি, মাংসের ঝোল ও এক ধরনের ভর্তার পরিমাণও কমে গিয়েছে। ভর্তা দেওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে এবং খিচুড়ি পূর্বের তুলনায় কম পাচ্ছেন বলে দাবি করছেন গ্ৰাহকরা। হোটেল ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান বলছেন, ভর্তার কারিগর না থাকায় কয়েকদিন ভর্তা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু গ্রাহকদের অভিযোগ, বিগত পনেরো দিন ধরে ভর্তা দেওয়া বন্ধ রয়েছে, তিনি আরও বলেন, দাম বাড়ার কারণে তিন ধরনের ভর্তা দেওয়া সম্ভব নয়।”
এছাড়াও, গ্রাহকরা অভিযোগ করছেন যে হোটেলটিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয় না। খাবারের থালা-বাসন ভালোমতো পরিষ্কার না হওয়ায় , খাবার থালাতে এঁটো দেখা গেছে এবং রান্নাঘরের পরিবেশও অস্বাস্থ্যকর। এই অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনায় গ্রাহকদের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই হোটেল ব্যবসায়ীর এই কাজকে প্রতারণা এবং স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছেন। তারা দাবি করছেন, দাম বাড়ানোর পরিবর্তে খাবারের পরিমাণ ও মান কমিয়ে দেওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়।