Home জাতীয় কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে ডিবিতে নেওয়ার কারণ জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জুলাai ২৭, ২০২৪

কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে ডিবিতে নেওয়ার কারণ জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে  হাসপাতাল থেকে গোয়েন্দা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা ও জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তাদেরকে আটক করা হয়নি। তাদের নিরাপত্তার জন্যই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তাদেরকে নিয়ে আসা হলেও কয়েক ঘণ্টা কোনো বাহিনীর পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। পরে রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নিয়েছে ডিবি। রাতে তাদের ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) মধ্যরাতে বিষয়টি নিয়ে ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার জানামতে তারা (তিন সমন্বয়ক) নিজেরাই তাদেরকে ইনসিকিউরড (অনিরাপদ) মনে করছে। তারা মনে করছিল তাদেরকে যারা বুদ্ধি পরামর্শ দিচ্ছে, তাদেরকে কেউ কেউ থ্রেট (হুমকি) করছে।

এই তিনজন বিভিন্নভাবে তাদের অভিভাবকদের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি, তাদের সিকিউরিটির জন্যই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার যে কারা তাদের থ্রেট দিচ্ছে, কারা তাদের ধমকাচ্ছে। সেটা জানার জন্যই তাদের ডেকে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমরা নেক্সট ব্যবস্থা নেব।

এর আগে শুক্রবার বিকালে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে সাদা পোশাকের কিছু ব্যক্তি তাদের তুলে নিয়ে যায় বলে নাহিদের বাবা বদরুল ইসলাম যুগান্তরকে নিশ্চিত করেন।

নাহিদের বাবা বলেন, বিকাল ৪টার পর সাদা পোশাকে কয়েকজন এসে নাহিদ, আসিফ ও বাকেরকে তুলে নিয়ে যায়। তবে তারা কোথায় নিয়ে গেছে সেটি জানতে পারেননি। গত কয়েকদিন ধরে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে তারা চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই তাদের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া হাসপাতালের সামনে পুলিশের উপস্থিতি ছিল। এর আগে নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ তুলে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ করেছিলেন এই দুই সমন্বয়ক।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *