Home সারাদেশ মোরেলগঞ্জের ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ইংরেজ নীলকুঠি কুঠিবাড়ীর অস্বিত্ব বিলুপ্তির পথে !
জুলাai ১৪, ২০২৪

মোরেলগঞ্জের ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ইংরেজ নীলকুঠি কুঠিবাড়ীর অস্বিত্ব বিলুপ্তির পথে !

এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গড়ে উঠা ঐতিহাসিক নিদর্শন রবার্ট মোরেল এর ইংরেজ নীলকুঠি কুঠিবাড়ী ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে । অযতœ অবহেলা আর সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ না থাকায় দেড় শ’ বছর আগের এ নিদর্শন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। রহস্যে ঘেরা আর কালের সাক্ষী কুঠিবাড়ীর অস্বিত্ব বিলুপ্তির পথে।

১৮৪৯ সালে ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি মিসেস মোরেল তার দুই ছেলে রবার্ট মোরেল ও হেনরি মোরেল এর নামে এ অঞ্চলের পত্তনি গ্রহণ করেন এবং পানগুছি ও বলেশ্বর নদীর মোহনায় সুন্দরবন বন্দোবস্ত নিয়ে বন আবাদ করে বসতি গড়ে নীল চাষ শুরু করেন। বরিশাল থেকে শ্রমিক সংগ্রহ করে বন আবাদ করে গড়ে তোলেন বিশাল আবাসস্থল ‘কুঠিবাড়ী’। নির্মান করা হয় আস্তাবল, পিলখানা, নাচঘর, গুদামঘর, কাচারিবাড়ি, লাঠিয়াল বাহিনীর জন্য পৃথক ঘর এবং নির্যাতন কক্ষ। সুন্দরবনের হিংস্র প্রাণী ও রয়েল বেঙ্গল টাইগারের হাত থেকে রক্ষা পেতে কুঠিবাড়ীর চতুর্দিকে সুউচ্চ প্রাচীর নির্মাণ করা হয়।

এ কুঠিবাড়িটি দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে ভূমি অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। এ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পরও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেও দীর্ঘ কয়েক বছর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম চলেছে। বর্তমানে এ ঐতিহাসিক ইংরেজ নীল কুঠি সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। শুধু কালের স্বাক্ষী হয়ে এখনও রয়েছে ‘কুঠিবাড়ি’ নামে পরিচিত মোরেলদের ‘নীলকুঠি’র ধ্বংসাবশেষ। ‘কুঠিবাড়ি’ ভবনের পুরানো আমলের সেই দরজা, জানালা, গ্রীল, সিন্দুক, সিড়িসহ বহু মূল্যবান মালামাল ধীরে ধীরে বেহাত হয়ে গেছে। স্মৃতিস্তম্ভ থেকেও চুরি হয়ে গেছে অনেক মালামাল ।

ঐতিহ্যবাহী এই কুঠিবাড়িকে নিয়ে গবেষক প্রাক্তন অধ্যক্ষ ম্যাটস্ বাগেরহাট ডা. মো. শিব্বির আহেমদ বলেন, কুঠিবাড়ি একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। এটি আজ ধংসের দ্বারপ্রান্তে। ইতিপূর্বে অনেক জমি অবৈধ দখলদারের হাতে চলে গেছে। প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর সংরক্ষণ করে দেখভালের জন্য দায়িত্ব গ্রহণের দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি কুঠিবাড়ির এ জমিতে শিশু পার্ক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে শিশুদের বিনোদনের চাহিদা লাঘব হবে। আয়ের উত্স্য থেকে সরকারিভাবে রাজস্বও আসবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান জানান, মোরেলগঞ্জের ইতিহাসের সূতিকাগার হিসেবেকুঠিবাড়িটি সংরক্ষণের জন্য ইতিমধ্যে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। ইতিহাস-ঐতিহ্য ধরে রাখতে সরকারিভাবে বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে।

ঐতিহাসিক এ ইংরেজ শাসনামলের ‘কুঠিবাড়ি’ সংরক্ষনে প্রত্মতত্ত বিভাগে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী ।
(এস এম সাইফুল ইসলাম কবির)
বাগেরহাট সংবাদদাতা ০১৯১১-২১১৯৬৫ তারিখ-১৪.০৭.২০২৪।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *