Home জাতীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিরা পাবে না, তাহলে কী রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে?
জুলাai ১৪, ২০২৪

মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিরা পাবে না, তাহলে কী রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেনো? তাদের নাতিপুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে? এটা আমার দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন।

রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কোটা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- দেশে কোটাবিরোধী আন্দোলন চলছে। এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত কিন্তু চিকিৎসার টাকা নেই। এটা হলো মুক্তিযোদ্ধাদের এখনকার অবস্থা। অথচ তাদের উদ্দেশ্য করে প্রতিনিয়ত অবমাননাকর বক্তব্য রাখা হচ্ছে। এই অবমাননা তারা সহ্য করতে পারছেন না। এই রাষ্ট্রের কিছু করণীয় আছে কি না?

শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অপরাধটা কী? নিজের জীবন বাজি রেখে, নিজের পরিবার সব ফেলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। দিনরাত খেয়ে না খেয়ে, কাদামাটি পেরিয়ে, ঝড়-বৃষ্টি সব মোকাবিলা করে যুদ্ধ করে এ দেশে বিজয় এনে দিয়েছিল। বিজয় এনে দিয়েছিল বলেই তো আজ সবাই উচ্চপদে আসীন। আজ গলা বাড়িয়ে কথা বলতে পারছে। তা না হলে পাকিস্তানিদের বুটের লাথি খেয়ে থাকতে হতো।

এ সময় দুর্নীতি নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হয়েছি বলেই দুর্নীতিবাজ ধরা পড়ছে। অনিয়ম-জঞ্জালগুলো পরিষ্কার করছি আমরা। এজন্য আমার ইমেজ নষ্ট হলে হোক, আমি তাদের ধরবোই। এই কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে, এখানে কোনো দ্বিধা নেই।

তিনি আরও বলেন, এবারের চীন সফরে ২১টি সমঝোতা সই হয়েছে। যারা সফরের সমালোচনা করছেন, তারা কি জেনে-বুঝে এসব করছেন? নাকি শুধুই আমাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে? ভারত সফরের পর বলা হলো- দেশ বেঁচে দিয়েছি, এখন বলছে চীন কিছু দেয়নি। এগুলো যারা বলেন, তাদের মানসিক অসুস্থতা আছে। তাছাড়া এভাবে এসব নিয়ে বানোয়াট প্রশ্ন তোলার কথা না।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *