Home সারাদেশ রামগড়ে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক চাকুরীচ্যুত
জুলাai ১৩, ২০২৪

রামগড়ে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক চাকুরীচ্যুত

তাজু কান্তি দে, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধিঃ

খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় মাষ্টারপাড়ায় তা’লীমুল উম্মাহ ইসলামিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ ওঠায় শিক্ষককে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ আব্দুর সামাদ মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শিক্ষক ছিলেন। এছাড়া তিনি  উপজেলার কোর্ট মসজিদের ইমাম কাম মোয়াজ্জিম হিসেবে কর্মরত। আব্দুস সামাদ রামগড় পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড চৌধুরীপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল খালেক মোল্লা’র ছেলে।

হেফজো বিভাগের ১১ বছর বয়সী ছাত্রের মা খোদেজা বেগম জানান, আমার ছেলে মাদ্রাসা থেকে কোরবানির ঈদের আগে হঠাৎ একদিন বাড়িতে  আসে। মাদ্রাসা থেকে আসার পর সে আর মাদ্রাসায় যেতে চায় না। অনেক বুঝিয়ে মাদ্রাসায় পাঠালেও সে আবার বাড়িতে চলে আসে। ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলে, সে বলে মাদ্রাসায় আর যাবে না। মাদ্রাসার হুজুর সামাদ তার সাথে খারাপ কাজ করতে চায়, বাথরুমে ডুকিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয়। হুজুর ভয় দেখিয়ে বলেছে বিষয়টি কাউকে বললে শাস্তি পেতে হবে। মাদ্রাসায় অভিযোগের পাশাপাশি থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও জানিয়েছেন  তিনি।

এ ঘটনায় মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, ছাত্রের পরিবার থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা মাদ্রাসার সুনাম রক্ষার্থে  শিক্ষক মোঃ আব্দুস সামাদ কে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ আব্দুর সামাদ এর কাছে সত্যতা জানার জন্য একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

রামগড় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)  মহসিন মোস্তফা  জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, এ ঘটনার আগে একই মাদ্রাসায় বলাৎকারের আরেকটি ঘটনা ঘটেছিলো। এলাকাবাসীর দাবী আগেরকার ঘটনার বিচার না হওয়ায় একই ঘটনা বারবার হচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে শিক্ষকের শাস্তি ও মাদ্রাসাটি বন্ধ চান এলাকাবাসী।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *