প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে অভিযোগের মুখে কী বলছেন তাহসান
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার আবেদ আলী আদালতে স্বীকারোক্তিতে ২০০৫ সাল থেকে পিএসসির অধীনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। এরপরই গুঞ্জন ওঠে সংগীতশিল্পী তাহসান খানের মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম পিএসসির চেয়ারম্যান থাকাকালে তার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ছিলেন আবেদ আলী। আর সে সময় ২৪তম (২০০২-২০০৩) বিসিএস পরীক্ষার সবচেয়ে বড় প্রশ্নফাঁস কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। সে বছর পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন তাহসান, এরপর সেই পরীক্ষা বাতিলও করা হয়। অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এইসব গুঞ্জনের ব্যাপারে নিজের বক্তব্য জানালেন সংগীতশিল্পী তাহসান খান।
প্রকাশিত বিভিন্ন খবরে বলা হচ্ছিল- সৈয়দ আবেদ আলী পিএসসির একজন সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক ছিলেন। সেই প্রেক্ষাপটে পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সৈয়দ আবেদ আলী তার গাড়িচালক ছিলেন না। তিনি পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের আগেই আবেদ আলী চাকরিচ্যুত হন। আবেদ আলীকে তিনি কখনো দেখেননি।
এর মধ্যে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সৈয়দ আবেদ আলী পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগমের গাড়িচালক ছিলেন। এর সঙ্গে আরেকটি বিষয়ও আলোচনায় আসে যে জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম পিএসসির চেয়ারম্যান থাকাকালে তার ছেলে সংগীতশিল্পী তাহসান ২৪তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন। পরে ওই পরীক্ষা বাতিল হলে নতুন করে নেওয়া মৌখিক পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে লেখালেখি করেন।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বুধবার (১০ জুলাই) একটি সংবাদমাধ্যমকে তাহসান বলেছেন, তিনি কোনো দিন বিসিএস পরীক্ষাই দেননি।
তিনি বলেন, ‘মানুষ বোঝে এসব ভুয়া খবর। এরই মধ্যে মানুষজন এর প্রতিবাদও করছে। নানানজন নানানভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আরেকটা কথা, আমি কিন্তু কোনো দিন বিসিএস দিইনি। আর যেই গাড়িচালকের (সৈয়দ আবেদ আলী) কথা বলা হচ্ছে, তিনি কোনো দিন আমার আম্মার গাড়িচালক ছিলেন না।’
সৈয়দ আবেদ আলী প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার ঘটনায় ২০১৪ সালে পিএসসি থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন। পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, আবেদ আলী যত দিন পিএসসির চাকরিতে ছিলেন, তত দিন তিনি সংস্থাটির কোনো চেয়ারম্যানের গাড়িচালক ছিলেন না। তিনি একজন যুগ্ম সচিবের গাড়িচালক ছিলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন ঘেঁটে দেখা গেছে, ২৪ তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১৫ জন নিয়োগ পান। এই ১৫ জনের মধ্যে এককভাবে প্রথম হয়েছিলেন কাজী এহসানুল হক। তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৬৬৩৩। এই ১৫ জনের মধ্যে তাহসান রহমান খান নামে কেউ নেই।