মানুষের ভাগ্য বদলানোর জন্য আ.লীগের জন্ম: শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালির প্রতিটি অর্জনে এ দল ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। যা এই দলটি প্রমাণ করেছে।
রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫-এর আগস্টের পর বার বার ক্ষমতা বদল হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতা বদল হয়েছে অস্ত্রের মাধ্যমে এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না, মানুষের মৌলিক অধিকার ছিল না। মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তনই তারা করতে পারেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বারবার আঘাত করেও আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেওয়া যায়নি। ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে। কারণ আওয়ামী লীগের শক্তি দেশের সাধারণ জনগণ। তৃণমূলের কর্মীরা, সৈনিকরা। তারা কখনো মাথানত করে না। বিভিন্ন সময় নেতারা অনেকে ভুল করেছেন। আওয়ামী লীগ ছেড়ে চলে গেছেন। যেসব নেতা ভুল করেছেন, তারা বোঝেননি। চলে যাওয়ায় হারিয়ে গেছেন। হ্যাঁ, অনেকে ফিরে এসেছেন, আমরা গ্রহণ করেছি। আবার অনেকে এখনও সরকার পতনের আন্দোলন করেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হব৷ শক্তিশালী সংগঠন থাকলে, গণমানুষের সমর্থন থাকলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব৷ মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছি বলেই বারবার সরকার গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে দেশের জনগণ৷ দেশের মানুষের আস্থা পূরণ করতে পেরেছি বলেই জনগণ ভোট দিয়েছে। গণতান্ত্রিক ধারা আছে বলেই, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রতিজ্ঞায় আওয়ামী লীগের পাশেই থাকুন সবাই৷
এর আগে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভায় যোগ দিতে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সেখানে যান শেখ হাসিনা। মঞ্চে উঠে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। সভাস্থলের নেতাকর্মীরাও বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছার জবাব দেন।
আলোচনা সভার আগে শেখ হাসিনা প্রথমে পায়রা উড়িয়ে দেন। এরপর বেলুন ওড়ানোর পর পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর আসেন আলোচনা সভাস্থলে।