সোনাক্ষীর বিয়ে, যে কারণে লাল রঙের পোশাকে নিষেধাজ্ঞা!
সোনাক্ষী সিনহা বলিউডের পরিচিত যার নাম একবার শুনলেই চোখে ভাসতে থাকে নানান সিনেমার নাম। বলিউডের নামি দামি সকল নায়কদের সঙ্গেই অভিনয় করেছেন তিনি। পাত্র মুসলিম হওয়াতে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা সমালোচনা। তৃণমূলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য শত্রুঘ্ন সিনহার বাড়িতে নাকি বিয়ের সানাই! তাও আবার মুসলিম কোনো ছেলের সঙ্গে।
আগামী ২৩ জুন জহির ইকবালের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন বলিউডের দাবাং গার্ল। এবার সামনে এসেছে তার বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র। তারকা জুটির নিমন্ত্রণপত্র ফাঁস হতেই প্রকাশ্যে চলে আসে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের খুঁটিনাটি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদের আদলে তৈরি হয়েছে বিয়ের এই নিমন্ত্রণপত্র। প্রচ্ছদে রয়েছে হবু দম্পতির একটি অন্তরঙ্গ ছবি। তারই সঙ্গে লেখা, ‘দ্য রিউমরস ওয়্যার ট্রু’।
এই নিমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ রয়েছে, অতিথিদের জন্য ‘ড্রেস কোড’। উৎসবে পরার মতো মানানসই ‘ফর্মাল’ পোশাক পরতে বলা হয়েছে অতিথিদের। তবে, প্রত্যেককে লাল রঙের পোশাক পরতে নিষেধ করা হয়েছে। অর্থাৎ, আন্দাজ করাই যায়, এ দিন নববধূকেই শুধু লাল রঙের পোশাকে দেখা যাবে।
সোনাক্ষী-জহিরের বিয়ের আসর বসছে আরেক তারকা শিল্পা শেট্টির রেস্তরাঁয়। ২৩ জুন রাত ৮টা থেকে বসবে বিয়ের আসর। নিমন্ত্রণপত্রে একটি ‘কিউ আর’ কোড রয়েছে, যেটি স্ক্যান করলেই নাকি শোনা যাচ্ছে হবু দম্পতির আমন্ত্রণবার্তা।
সেই বার্তায় তারা বলেছেন, গত সাত বছর ধরে আমরা একসঙ্গে আছি। এই সাত বছরে আমরা অনেক ভালবাসা, হাসি, আনন্দ, রোমাঞ্চ ভাগ করে নিয়েছিলাম, যার জন্য আজ আমরা এই সময়টাতে এসে পৌঁছেছি।
একটা সময় সোনাক্ষী ও জহিরের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছিল বলি পড়ায়। সেই বিষয়ে তারা বলেন, প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে আমাদের নিয়ে গুঞ্জন ছিল। সেই ‘গুঞ্জন’ এ বার সত্যি হচ্ছে। আর আমরা স্বামী-স্ত্রী হতে চলেছি। আপনাদের ছাড়া এই উদ্যাপন অসম্পূর্ণ। তাই ২৩ জুন আসুন আর আমাদের সঙ্গে পার্টি করুন। দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সোনাক্ষী ও জহির দুজনেই ২০২২ সালে কাজ করেছেন ‘ডাবল এক্সএল’ ছবিতে।
২০১০ সালে ‘দাবাং’ ছবির নায়িকা হিসাবে আত্মপ্রকাশ শক্রঘ্ন কন্যার, অন্যদিকে ২০১৯ সালে ‘নোটবুক’ ছবির সঙ্গে অভিষেক হয় জহিরের।