কাঠালিয়ায় খামারে অগ্নিকান্ডে ৮টি গরু ও ১১টি ছাগল আগুনে পুড়ে ছাই,নি:স্ব খামারী।
বালী তাইফুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার চেঁচরী রামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চেঁচরী গ্রামে (মাঝি বাড়ী) সত্তেন সমাদ্দারের খামারে আগুন লেগে ৮টি গরু এবং ১০টি ছাগলসহ হাঁস-মুরগী পুড়ে মারা গেছে।
এসময় ঘোয়াল ঘরে রাখা তৈল জাতীয় ফসল সূর্যমুখী ও বাদামও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তালাবদ্ধ ঘরে আগুন লেগে পুরো ঘরটি পুড়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে মশা তারানোর ধোঁয়া ও কয়েল থেকে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
মধ্য রাতের এই অগ্নিকান্ডে সব মিলিয়ে ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার দক্ষিণ চেঁচরী গ্রামের মাঝি বাড়িতে সত্যেন্দ্রনাথ সমদ্দারের খামারে রোববার (২ জুন) রাত ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নেছার উদ্দিন ও থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন সরকার।
ভুক্তভোগী দিলীপ কুমার জানান, রোববার (২ জুন) সন্ধ্যায় প্রতিদিনের ন্যায় গরু ছাগল ও হাঁস মুরগী খামারের ভবনে তালা দিয়ে আটকে মশারী টানিয়ে ভিতরে মশার কয়েল জালিয়ে বাড়ীতে যান। রাত ১টার দিকে পুনরায় খামারে আসেন কৃষক দিলীপ কুমার তখনও সব কিছু ঠিক ছিল। সকালে স্থানীয় লোকজন জানায় তার খামারে আগুন লেগে সব পুড়ে গেছে। এসে দেখেন খামারের ৮টি গরু ১১ টি ছাগল হাঁস মুরগী মারা গেছে। এছাড়া খামারের মধ্যে থাকা গো-খাদ্য, সূর্যমুখি ও বাদাম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্ত্রী ও মেয়েদের নিয়ে এ অর্থ দিয়ে তার সংসার চলতো। এখন কিভাবে সংসার চলবে তা বলতে পারছেনা দিলীপ কুমার।
কাঠালিয়া ফায়ারসার্ভিসের স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, রোববার রাত ৩টার দিকে দক্ষিণ চেচরীরামপুর গ্রামে সত্যন্দ্রনাথ সমদ্দারের খামারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। ততক্ষণে ৮টি গরু, ১০টি ছাগল ও ৩০টি মুরগী পুড়ে মারা গেছে। গোয়ালঘরেরও ক্ষতি হয়েছে। সবমিলিয়ে ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে “মশা তাড়ানোর ধোঁয়া ও কয়েল” থেকে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. মাহবুব আলম জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে কৃষককে শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করি।
চেঁচরী রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদ জানান, স্থানীয় ইউপি মেম্বার মাহবুব আলমের মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হই। ওই কৃষককের অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে। তাকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা নেই। চেষ্টা করছি তাকে আর্থিক সহযোগীতা করার।
থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কোন নাশকতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মশার কয়েলের আগুন থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে যা খামারের মালিক নিজে স্বীকার করেছে। তারপরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নেছার উদ্দিন জানান, বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী কৃষককে আর্থিক সহায়তা করা হবে।