Home রাজনীতি বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই: শেখ পরশ
Mei ২১, ২০২৪

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই: শেখ পরশ

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, এই মুহূর্তে শেখ হাসিনা উপমহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তার নেতৃত্ব, দায়িত্বশীলতা, গুণ, ধৈর্য তাকে আজকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। আমাদের সবারই বিকল্প আছে কিন্তু বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই।

রোববার (১৯ মে) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুবলীগ আয়োজিত শোভযাত্রার প্রাক্কালে তিনি এ কথা বলেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত ‘শেখ হাসিনা: দুর্গম পথের নির্ভীক যাত্রী’- শীর্ষক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ পরশ বলেন, যুবলীগের নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব রয়েছে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা, দেশের উন্নয়নের যে ধারা, উন্নয়নের সুফল শুধু জনগণের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিলেই হবে না, এই অপশক্তিরা আর কোন দিন যেন এদেশের জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন করতে না পারে সে দিকে যুবলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীরা দৃষ্টি রাখবেন। দরকার হলে বুকের রক্ত দিয়ে জনগণের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন।

879427fc-b823-4116-81bb-014e787138e3

শেখ হাসিনার দেশে প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে তিনি বলেন, যেখানে সামরিক জান্তারা রাতের পর রাত মুক্তিযোদ্ধা সেনাবাহিনীর অফিসারদের হত্যা করেছে, ফাঁসি দিয়েছে সেই প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনার এই আগমন ছিল অত্যন্ত সাহসী ও আত্মত্যাগী। সেই আগমনের বার্তা এদেশের লাখ লাখ নিপীড়িত, শোষিত মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল, এদেশের জনগণ আস্তা ফিরে পেয়েছিল, স্বপ্ন দেখেছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বপ্নের বাংলাদেশ পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার।

169051f5-f526-4712-a1c5-7185aa8f17ed

শেখ পরশ বলেন, সাম্প্রতিককালে যুক্ত হয়েছে পর-নির্ভর রাজনীতি। আজকে তারা বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করে। কিন্তু জনগণের ওপর নির্ভর করে না। তারা নির্ভর করে মিস্টার ল্যু’দের ওপর। যে তাদের হাত ধরে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। সেই স্বপ্ন আজকে ব্যর্থ হয়েছে, ধূলিসাৎ হয়েছে। কারণ, শেখ হাসিনার সঙ্গে এদেশের আপামর জনগণ রয়েছে।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া বাংলাদেশের মানুষের ওপর বঙ্গবন্ধুর খুনী জিয়াউর রহমান যে নির্মম অত্যাচার চালিয়েছিল তা আপনারা জানেন। বাংলাদেশের মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না, ভাতের অধিকার ছিল না, ভোটের অধিকার ছিল না। হ্যাঁ-না ভোট দিয়ে এই জিয়াউর রহমান মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। এমনকি যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মুক্তিযোদ্ধা, কার্ফু জারি করে রাতের পর রাত তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। বিনা বিচারে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। তার সব কিছু ফিরিয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, মো. এনামুল হক খান, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. হারিছ মিয়া শেখ সাগর, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য। এছাড়াও র‌্যালিতে আরও অংশগ্রহণ করে ঢাকা জেলা যুবলীগ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগ, গাজীপুর জেলা যুবলীগ, গাজীপুর মহানগর যুবলীগসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *