১০ জনের ব্রাদার্সকে পেয়ে জ্বলে উঠল আবাহনী
ফুটবলে সান্ত্বনা খুঁজে পাচ্ছে আবাহনী। বাজে পারফরম্যান্স করতে করতে লেজেগোবরে হয়ে যাওয়া আবাহনী লিগে বড় জয় পেয়েছেন কাল। ৭-১ গোলে দুর্বল ব্রাদার্স এবং ১০ জনের ব্রাদার্সের বিপক্ষে ৭-১ গোলে জিতল আবাহনী। জ্বলে উঠল আবাহনীর বিদেশি দুই ফরোয়ার্ড। গোপালগঞ্জের মাঠে এই জয়ের পর আরও একটা সুখবর পেয়েছে আবাহনী। ময়মনসিংহে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে মোহামেডানের ৩-৩ গোলের ড্রয়ে আবাহনী মহাখুশি।
কারণ পয়েন্ট টেবিলে মোহামেডান-আবাহনী সমান, ২৯ করে। গোল গড়ের কারণে মোহামেডান টেবিলের ওপরে থাকছে। গতকাল ব্রাদার্সকে ৭ গোলে হারানোর পরও গোল গড়ে আবাহনীর চেয়ে মোহামেডান ২০ গোল এগিয়ে। মোহামেডান আবার পয়েন্ট নষ্ট করলে এবং আবাহনী যদি পরবর্তী পয়েন্ট নষ্ট না করে তাহলে লিগের রানার্সআপ হওয়ার সুযোগটা তারা নিতে পারবে।
আবাহনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলকে নামানো হয়নি। নামানো হয়নি অধিনায়ক রহমত মিয়াকে। আর্মব্যান্ড দেওয়া হয়েছিল ইরানি ফুটবলার মিলাদ শেখকে। একাদশে বড় পরিবর্তন আনলেও ছিলেন জামাল ভূঁইয়া। খেলেছেন পুরো সময়। দুর্বল ব্রাদার্সকে হারাতে আবাহনীর গ্রানাদার স্ট্রাইকার কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট, ব্রাজিলিয়ান ওয়াশিংটন জ্বলে উঠেছেন।
ব্রাদার্সের গাম্বিয়ান ফুটবলার পাপে মুসা ফে ৫২ মিনিটে সরাসরি লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়ায় ১০ জনের ব্রাদার্সের সামনে আবাহনীর গোল উত্সব শুরু হয়ে যায়। লাল কার্ডের আগে আবাহনী ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। ১০ জনের ব্রাদার্সকে পেয়ে আবাহনীর ওয়াশিংটন ২, কর্নেলিয়াস ৪ এবং মেরাজ হোসেন অপি ১ গোল করেছেন শেষ বাঁশি বাজার আগে। ১০ জন নিয়েও ৭৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্রাদার্সের উজবেক ফুটবলার নডিরবেক মাভলনভ গোল করেন, ১-৭।
আবারো মোহামেডানের ড্র
লিগের প্রথম পর্বে মোহামেডান-রহমতগঞ্জ ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। কাল ফিরতি পর্বের ম্যাচে মোহামেডান-রহমতগঞ্জ ম্যাচ ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছে। ৬ মিনিটে জাফর ইকবাল এবং ২১ মিনিটে সুলায়মান দিয়াবাতের গোলে এগিয়ে ছিল মোহামেডান। প্রথমার্ধেই ২ গোল শোধ করে সমতা আনে রহমতগঞ্জ।
৩৪ মিনিটে ঘানাইয়ান আর্নেস্ট বোটেংগা এবং ৪২ মিনিটে পেনাল্টিতে ঘানার স্যামুয়েল গোল করেন, ২-২। স্যামুয়েলের গোল ৬৫ মিনিটে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ, ৩-২। ৯৫ মিনিটে সুলায়মান দিয়াবাতের গোলে ম্যাচ ড্র করে হার বাঁচায় মোহামেডান, ৩-৩। ঢাকায় অনুষ্ঠিত শেখ রাসেল-চট্টগ্রাম আবাহনী ১-১ গোলে ড্র হয়েছে।