Home খেলা ওয়ার্নার দেখেন সহায়তা, বাংলাদেশ দেখে না
Mei ৮, ২০২৪

ওয়ার্নার দেখেন সহায়তা, বাংলাদেশ দেখে না

আইপিএল থেকে মুস্তাফিজুর রহমানকে দেশে এনে বসিয়ে রেখেছে বিসিবি। অথচ ভারতীয় টুর্নামেন্টে বেশ ভালো অবস্থানেই ছিলেন কাটার মাস্টার। চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরে একটা শক্তিশালী বলয়ের মধ্যে থেকে ভালো ফর্মও দেখিয়েছেন তিনি। সবার আগে পার্পেল ক্যাপ মুস্তাফিজের মাথায় উঠেছে।

টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচের ভেলকি তো দেখেছে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। বল হাতে ৪ ওভারে ২৯ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে বুঁদ করে রেখেছিলেন ভক্তদের। দিন কয়েক চলেছে ফিজবন্দনা। চেন্নাইয়ের জার্সিতে নিজের খেলা নবম ম্যাচে উইকেট না পেলেও সেই জাদুকরী বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছিলেন। মাঝে তিনটি ম্যাচ বাদ দিলে চেন্নাইয়ের মূল আলোচনায় ছিলেন মুস্তাফিজ। ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নেওয়া এই বাংলাদেশি বোলারের আরো পথ পাড়ি দেওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু মাঝপথে সেই সুযোগের টুঁটি চেপে ধরেছে বিসিবি। অজুহাত হিসেবে সামনে এসেছে বিশ্বকাপের আগে কাজের চাপ কমাতেই দেশে এনে বসিয়ে রাখা হয়েছে তাকে।

এদিকে আইপিএলে খেললে কতটা প্রভাব রাখা যায় দেশের হয়ে, সে সম্পর্কে মুখ খুলেছেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা ডেভিড ওয়ার্নার। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ জেতার পেছনে আইপিএলের অবদানের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। ওয়ার্নার বলেছেন, ‘আইপিএল আমাদের সাহায্য করেছে, সেটি অবশ্যই বলতে হবে। আইপিএলে খেলার কারণে এসব উইকেটে সহায়তা পেয়েছি। মাটির ধরন সম্পর্কে বুঝেছি, সেটি কালো মাটি হোক বা লাল মাটি। এটা কি প্রথম ইনিংসে ঘুরতে যাচ্ছে, নাকি দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরতে যাচ্ছে, সেই বোঝাপড়াটা দারুণভাবে হয়েছে।’ ওয়ার্নার বাহিনী আইপিএলে খেলার সুবিধা সরাসরি কাজে লাগিয়েছেন। এবার হয়তো তেমনটা করার সুযোগ নেই। কারণ খেলা হবে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। তবে ভারতীয় ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে বিশ্বমানের ক্রিকেটারদের বিপক্ষে ও সঙ্গে খেলে যে অভিজ্ঞতা পাওয়া যেত, সেটি নিশ্চয়ই কাজে লাগাতে পারতেন মুস্তাফিজ।  ৯ ম্যাচ খেলে বাঁহাতি ফিজের অভিজ্ঞতা অবশ্য অনেকটাই হয়েছে।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি খেলতে পারলে টাটকা অভিজ্ঞতা নিয়ে বৈশ্বিক আসরে নামতে পারতেন। তবে বিসিবি গুরুত্বপূর্ণ এই ক্রিকেটারকে নিয়ে বেশি ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। তাইতো জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগেই তাকে দেশে ফেরানো হয়েছে। দল ইতিমধ্যে তিন ম্যাচ খেলে সিরিজও নিশ্চিত করেছে। বাকি দুই ম্যাচে তারকা এই পেসারকে খেলানোর সম্ভাবনাও কম, হয়তো একটি ম্যাচ খেলানোও হতে পারে। তবে তাতে হিতে বিপরীত না হয়! ধারালো অস্ত্র ফেলে রাখলে একসময় মরিচা পড়ে অকেজো হয়। ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও কখনো কখনো তেমনটি ঘটে। তাইতো মাঠে নামার আগে কঠোর অনুশীলন, জিম কিংবা বিভিন্ন কসরতের মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করেন তারা। সেই জায়গা থেকে মুস্তাফিজকে ম্যাচ না খেলিয়ে বসিয়ে রাখা বুমেরাংও হতে পারে!

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *