Home দর্শনীয় স্থান পর্যটকে মুখর চরফ্যাশনের দর্শনীয় স্থান
Mei ৭, ২০২৪

পর্যটকে মুখর চরফ্যাশনের দর্শনীয় স্থান

ঈদের টানা ছুটিতে হাজারও পর্যটকে মুখর হয়ে ওঠে চরফ্যাশনের দর্শনীয় স্থানগুলো। শনি ও রোববার এবং অফিস খোলার তারিখ সোমবারও পর্যটক ছিল চোখে পড়ার মতো।

চরফ্যাশন সদরের নজরুল নগর, কলমী, বকসী, বাবুরহাট, মায়াব্রিজ, খামারবাড়ি, চর কুকরি-মুকরি ও ঢালচরের তারুয়া এলাকা পর্যটনের এক নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করেছে।

এছাড়াও আরও কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- উপজেলার বেতুয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন বেতুয়া প্রশান্তি পার্ক, চরফ্যাশন শেখ রাসেল শিশু ও বিনোদন পার্ক, চরফ্যাশন ফ্যাশন স্কয়ার এবং চরফ্যাশন জ্যাকব টাওয়ার। এসব দর্শনীয় স্থানে প্রতিবছরই ভ্রমণপিপাসুদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।

চরফ্যাশনের অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধের উদ্যান। তেঁতুলিয়া বেড়িবাঁধকে বিভিন্ন রঙে রাঙিয়ে সাজসজ্জা করে গড়ে তোলা হয়েছে দর্শনীয় স্থান হিসেবে। ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামে এখানে।

তেঁতুলিয়ার ঢেউ আর সবুজের সমারোহ উপভোগ করতেই এখানে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। প্রতিদিন বিকাল হলেই এখানে মানুষের ঢল নামে। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি এ বেড়িবাঁধের উদ্যানে বসে সময় কাটান অনেকেই। এখানে বসেই পড়ন্ত বিকালের নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করেন দর্শনার্থীরা। সূর্য যখন নদীর বুকে ছায়া ফেলে, তখন নদীর রং যেন পাল্টে যায়। ভিন্ন এক অনুভূতির সৃষ্টি হয়। এখানে বসেই তেঁতুলিয়া নদীর এপার-ওপারে দেখা যায় সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত। মনে হয় যেন সেই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। বিশেষ করে সন্ধ্যার আকাশ অনেক আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। নদীর ঢেউ আর নির্মল বাতাসে বসেই আড্ডা জমিয়ে সেলফি তোলা, গান গাওয়া আর পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসার নিরাপদ স্থান এটি।

ঘুরতে আসা কয়েকজন দর্শনার্থী জানান, আগে এ স্থানগুলোর নাম শুনেছি, কিন্তু কখনো আসা হয়নি। আজ এসেই আমরা মুগ্ধ। বাঁধের ওপর দাঁড়িয়ে দূরের আকাশ, নদীর জোয়ার-ভাটা আর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। সব মিলিয়ে একটি ভালো লাগার মতো দর্শনীয় স্থান পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের উদ্যান।

স্থানীয়রা জানান, শুধু উৎসব আর বন্ধের দিন নয়, প্রতিদিন বিকাল হলেই দূর-দূরান্ত থেকে এ উদ্যানে ছুটে আসেন পর্যটকরা। তবে বিশেষ দিনগুলোতে পর্যটকদের ঢল নামে এখানে। ইতোমধ্যেই ভ্রমণপিপাসুদের প্রিয় স্থান হিসেবেই মন জয় করেছে এ উদ্যান।

পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ চরফ্যাশনের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান জানান, তেঁতুলিয়া নদীর তীর প্রতিরক্ষায় ৩২০০ কিলোমিটার ও বাঁধের ঢাল প্রতিরক্ষায় সিসি ব্লক স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চরফ্যাশনের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে নতুন সংযোজন বেড়িবাঁধের উদ্যান। ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য এটি হবে একটি ব্যতিক্রম ও আকর্ষণীয় স্থান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান বলেন, এ বছর পর্যটকদের পদচারণা অনেক বেশি দেখতে পাচ্ছি। তাদের নিরাপত্তার জন্য চরফ্যাশন সদর থানাসহ চার থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *