Home জাতীয় সুন্দরবনে যেন আগুন আর না লাগে সে ব্যাপারে নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর
Mei ৭, ২০২৪

সুন্দরবনে যেন আগুন আর না লাগে সে ব্যাপারে নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিসভাকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তবে শতভাগ নিভে গেছে তা বলেননি। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সুন্দরবনে লাগা আগুন নেভানোর সর্বশেষ পরিস্থিতি  জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক।

সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সকাল দশটায় তেজগাঁও কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এতে যোগ দেন। দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু প্রাধান্য পায় মন্ত্রিসভা বৈঠকে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। শতভাগ নিভে গেছে, এ রকম বলেননি। কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কারণ বনের আগুন স্বাভাবিক আগুন না। আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় নিভে গেছে। কিন্তু কোনো কিছু দিয়ে অনেকদূর পর্যন্ত চলে যেতে পারে। পরে হয়তো আবার জ্বলে উঠতে পারে। তাই বনের আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করা যায় না। এ জন্য এখন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কয়েকদিন পর ঘোষণা করা হবে। বৈঠকে সুন্দরবনে যেন আর আগুন না লাগে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।

মাহবুব হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে আবারও সরাসরি বিমান চলাচল কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এ জন্য দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচাল সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই চুক্তির আওতায় উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল কার্যক্রম শুরু হবে। ১৯৯৩ সালে একটি চুক্তির মাধ্যমে এটি চালু হয়েছিল। তারপর ২০০৫ সালে এসে এটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন নতুনভাবে শুরু করার জন্য উজবেকিস্তানের পক্ষ থেকে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে দুই পক্ষ মিলে এই চুক্তির খসড়াটি করেছে। দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে সর্বশেষ আন্তজার্তিক মান অনুযায়ী এটি করা হয়েছে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রতœসম্পদ আইন-২০২৪ এর খসড়া উপস্থাপন করা হলেও তা অনুমোদন হয়নি। বিস্তারিত আলোচনা শেষে কয়েকটি জায়গায় পরিমার্জনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিমার্জন করে পুনরায় উপস্থাপনের জন্য অনুশাসন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯৮৬ সালের একটি আইনকে পরিবর্তন করে বাংলায় এটিকে নতুনভাবে করা হচ্ছে। বাংলাদেশে যত প্রতœসম্পদ আছে সেগুলোকে সংজ্ঞায়িত করা, সংরক্ষণ করা, সেগুলোর হস্তান্তর ও নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়গুলো সেখানে আছে। নির্দেশনা অমান্য করলে শাস্তির বিষয়ও আছে।

মাহবুব হোসেন আরও বলেন, বৈঠকে জাতীয় পরিকল্পনা উন্নয়ন অ্যাকাডেমি আইন, ২০২৪ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। আগের আইনকে পরিবর্তন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নতুন এই আইন করতে চেয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রিসভায় আলোচনার প্রেক্ষিতে এটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস পালন করা হয়। এটি ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস ছিল। এটিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু  আলোচনার পর মন্ত্রণালয় এটি প্রত্যাহার করে নেয়।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *