Home বিশ্ব যে কারণে ৭৬০ বছর কারাদণ্ড হলো নার্সের
Mei ৪, ২০২৪

যে কারণে ৭৬০ বছর কারাদণ্ড হলো নার্সের

অতিমাত্রায় ইনসুলিনের ডোজ প্রয়োগ করে অন্তত ১৭ রোগীকে হত্যার দায়ে এক মার্কিন নার্সকে ৭৬০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি আদালত। ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিন বছরে অঙ্গরাজ্যের ৫টি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন হেদার প্রেসডি (৪১) নামের ওই সেবিকা। খবর এনডিটিভির

মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, তিন বছরে মোট ২২ রোগীকে ইনসুলিনের ইঞ্জেকশন দেন তিনি। যাদের সবার বয়স ৪৩ বছর থেকে ১০৪ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে মাত্র ৫ রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। যদিও যাদেরকে এ ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে এমনও রোগী ছিলেন, যাদের ডায়াবেটিস ছিল না।

ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য রাতের বেলার শিফটকে বেছে নিতেন হেদার। মূলত দেহে অতিমাত্রায় ইনসুলিন প্রবেশ করানো হলে হাইপোগ্লিকেমিয়া (রক্তে শর্করার মাত্রা শূন্যের কাছাকাছি নেমে যাওয়া) নামের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যায় রোগী শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল বোধ করেন। পাশাপাশি হৃৎস্পন্দনও বেড়ে যায়। ওই পরিস্থিতিতে যদি অতি দ্রুত চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাদ্য বা তরল গ্রহণ না করেন, তাহলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা তৈরি হয়।

গত বছর মার্চের দিকে পেনসিলভেনিয়ার এক হাসপাতালে দু’জন রোগীর পর পর মৃত্যুর পর হেদার প্রেসডির ওপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। তখন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে অবহিত করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ওই তদন্তের এক পর্যায়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মে মাসে হেদারের অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। বিচার শুরুর প্রথম দিন বাদিপক্ষের আইনজীবী হেদারকে যখন প্রশ্ন করেন, আপনি নিজেকে দোষী দাবি করছেন, না নির্দোষ? জবাবে হেদার বলেন, আমি দোষী।

তখন কেন তিনি নিজেকে দোষী দাবি করছেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি দোষ করেছি। তাই আমি দোষী।

বিচার চলাকালে বাদিপক্ষের এক সাক্ষী হিদারের সম্পর্কে বলেন, তিনি অসুস্থ নন, উন্মাদও নন; তবে অশুভ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। যে রাতে তিনি আমার বাবাকে খুন করেছেন, তার পরদিন সকালে তার মুখে আমি শয়তানের ছায়া দেখেছি।

অভিযোগ প্রমাণের পরপরই হেদারের নার্সিং লাইসেন্স বাতিল করা হয়। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পেনসিলভেনিয়ার কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালে কাজ করেছেন হেদার।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *