Home রাজনীতি পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত: ওবায়দুল কাদের
এপ্রিল ২৯, ২০২৪

পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত। শহিদ শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে রোববার বনানী কবরস্থানে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই’-পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের এমন মন্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায়। তবে বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না।

পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব বিএনপির এমন দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পাকিস্তান একসময় বোঝা ভাবত, এখন লজ্জিত হয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে রিজভীদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। কালো চশমা পরে শাহবাজ শরিফ যা দেখে, বিএনপি সেটাও দেখে না। তারা (বিএনপি) কেন দেখে না, সেটা তাদের জিজ্ঞাসা করুন।

গত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে কাকে হুমকি দিয়েছে? তাদের জন্ম তো বন্দুকের নলে। তারা গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আসেনি। গত নির্বাচনে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। ভোটের দিন কোনো খুনখারাবি হয়নি। এখানে আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি। তিনি কোন কারণে, কার চাপে নির্বাচনে এসেছেন, সেটা তাকেই পরিষ্কার করতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। খুনিদের মদদ দিয়েছে জিয়া-মোশতাকচক্র। এর মধ্য দিয়ে দেশে হত্যা, কু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে হত্যা, কু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত করেন। বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে।

এর আগে শহিদ শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে তার কবরে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ওবায়দুল কাদের শ্রদ্ধা জানান। পরে দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান কাদের। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *